ফেনী:
সোনাগাজী উপজেলার উপকুলীয় এলাকায় গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে খামার মালিকগণ। একসময় উপকুলীয় অঞ্চলে জেগে উঠা চরে দিনভর ঘাস খেয়ে রাতে খামারে ফিরত গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল। ফেনী নদীর উপকুলে জেগে উঠা হাজার হাজার হেক্টর চর ভূমিদস্যুদের দখলে চলে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন খামারীগণ। চরাঞ্চল রক্ষায় মঙ্গলবার সকালে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিকগণ।
খামার মালিক আবু ইউছুফ জানান, সোনাগাজীর চর ছান্দিয়া ও সদর ইউনিয়নের দক্ষিণাংশে সাগর-নদী থেকে জেগে উঠা হাজার হাজার হেক্টর খাস জমিতে আমাদের গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল বিচরণ করত। দিনভর খাবার খেয়ে সন্ধায় খামারে ফিরত। এখন সেই সরকারি খাস জমি পশুর চারণভূমি স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট দখল করে নিয়েছে। এতে আমরা গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছি। অনেকে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক নাজমুল হক বলেন, চারণভূমি দখল হয়ে যাওয়ায় আমরা দুইশ খামার মালিক আমাদের প্রায় ৫০ কোটি টাকা মুল্যের লক্ষাধিক গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল নিয়ে চরম বিপাকে আছি। সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উম্মে রুমা ও চর ছান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের পরামর্শে ক্ষতিগ্রস্ত মালিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে চর রক্ষায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আশাকরি প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের দাবি পূরণ করবেন। অন্যথায় এ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য গবাদি পশু মোটা-তাজা করণ ও দুগ্ধ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা যে যুগ-যুগ ধরে সোনাগাজীসহ ফেনীর দুগ্ধ ও মাংসের চাহিদা পুরণ করে আসছি তা বন্ধ হয়ে যাবে । আমাদের মত ক্ষতিগ্রস্ত হবে ফেনীর সর্বস্তরের মানুষ।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান বলেন, সোনাগাজীর উপকূলীয় অঞ্চলে গবাদি পশুর চারণভূমি রক্ষার জন্য খামার মালিকগণ অভিযোগ দিয়েছেন। পশুর চারণভূমিসহ সরকারি জমি উদ্ধারে সব ধরনের ব্যবস্থা নিবে উপজেলা প্রশাসন।