আবহাওয়ার পরিবর্তনে সিলেটে হঠাৎ করে বেড়েছে জ্বর, সর্দি ও কাশি

আবুল কাশেম রুমন,সিলেট:
সিলেটে আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। দিনে গরম আবাস থাকলে শেষ করাতে ঠান্ডা আবাস পাওয়া যায়। গত দু’দিনের বৃষ্টির পর কিছুটা ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। গরম ও ঠান্ডার পূর্বাবাসে মিশ্রিত হয়ে হঠাৎ করে সিলেটের ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি ও কাশির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রায় প্রতিটি ঘরেই কেউ না কেউ জ্বর বা সর্দিতে আক্রান্ত।

ফার্মেসীতে সর্দি, জ্বর ও কাশির ওষুধ বিক্রি বেড়েছে। পাশা পাশি গত কয়েক দিনে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। তবে বিভাগে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা উঠা নামা করলেও এখনো দুইশোর নিচে থাকছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল সহ নগরীর বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালের বর্হিবিভাগে জ্বর, সর্দি-কাশির রোগীদের ব্যাপক উপস্থিতির খবর পাওয়া গেছে। যদিও এটাকে মৌসুমী জ্বর-সর্দি হিসেবে বলছেন কেউ কেউ। তবুও যেহেতু দেশে করোনার সংক্রমণ এখনও থামেনি সেহেতু করোনা টেস্টের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে ১৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া ১ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিলেটে ৮ দিনে অর্ধশতাধিক রোগীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেন। সব মিলিয়ে সিলেটের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো রয়েছে। তবে মওসুমী জ্বরে আক্রান্তরা যদি দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকেন তাহলে ডেঙ্গু এবং করোনার আশঙ্কা কোন ভাবেই উড়িয়ে দেয়া যায়না।

এ ব্যাপারে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা: জাবেদ জিল্লুল বারী জানান, বর্তমানে সিলেটে জ্বর, সর্দি ও কাশির প্রধান কারণ হলো আবহাওয়ার পরিবর্তন। দিনে গরম রাতে হঠাৎ ঠাণ্ডা এমন আবহাওয়াই মূলত এজন্য দায়ী। এছাড়া সিলেটে ডেঙ্গু প্রকোপ বাড়ছে।

ডাক্তাররা পরাশর্শ দিচ্ছেন, জ¦র, সর্দি-কাশি হলেই নিজে থেকে এন্টিবায়েটিক সহ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্যাবলেট-ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। মওসুমী জ¦র হলে ৩/৪ দিন পর এমনিতেই সাধারণ ঔষুধে ভালো হয়ে যাবে। ৫ দিন পরও যদি শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তাহলে ডেঙ্গু ও করোনা টেস্ট করানোর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের স্মরণাপন্ন হওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *