সোনাগাজী :
সোনাগাজীতে পুলিশের উপর যুবদলের হামলার ঘটনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৩৪৪ নেতা-কর্মীকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় এ দুটি মামলা করেছে।
এর আগে গত সোমবার বিকেলে পৌর শহরের পশ্চিম বাজার এলাকায় যুবদল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী সার্কেল) মো. মাশকুর রহমানসহ পুলিশের নয়জন সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।
সোমবার বিকেলে পৌর শহরের পশ্চিম বাজার এলাকায় এ ঘটনার পর পুলিশের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় দুটি পৃথক মামলা করে।
এক মামলায় উপপরিদর্শক (এসআই) মাঈন উদ্দিন বাদী হয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ ৪৭ জন, অপর মামলায় এসআই সৌরজিৎ বড়ুয়া বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে বিএনপির ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া দুটি মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও ১২০ থেকে ১৩০ করে। উভয় মামলায় আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খুরশীদ আলম ভুইয়া, উপজেলা বিএনপি সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা মারামারি করেননি। পুলিশের ওপর হামলা ও ইটপাকেল নিক্ষেপ করেছেন, তাঁরা বিএনপির কেউ নন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. খালেদ হোসেন বলেন, দুটি মামলায় এখন পর্যন্ত রিপন (২৮) নামে যুবদলের এককর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।