হাজী রহিম উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের টিউবওয়েল দৌলতপুরে বসানোর অভিযোগ

ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য জেনারেল(অবঃ) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী কর্তৃক বরাদ্দকৃত সোনাগাজীর হাজী রহিম উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের টিউবওয়েল ফেনী সদরের ধলিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুরে বসানোর অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক জোবায়ের হোসেন রিমনের বিরুদ্ধে। রিমন ধলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়, হাজী রহিম উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের জন্য একটি টিউবওয়েল বরাদ্দ দেন সংসদ সদস্য জেনারেল(অবঃ) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। বিদ্যালয়ের পক্ষে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ওমর ফারুক ব্যাংকে সরকারি রাজস্বের টাকা জমা দেন।

কিন্তু গত ১জুলাই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজস করে বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক জোবায়ের হোসেন রিমন টিউওয়েলটি দৌলতপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়ীতে তার এক নিকট আত্বীয়ের কাছে বিক্রি করে দেন।

১৩আগস্ট বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভায় সভাপতি ওমর ফারুক টিউবওয়েলের ব্যপারে প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে এ বিষয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক রিমনকে জিঙ্গাসাবাদ করলে তিনি দৌলতপুরে টিউবওয়েল বসানোর বিষয়টি স্বীকার করেন।

এ ব্যপারে সহকারি প্রধান শিক্ষক জোবায়ের হোসেন রিমন বলেন, আমি আমার এক নিকটাত্বীয়ের জন্য ফেনী-২ আসনের এমপির কাছে আবেদন করেছিলাম। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক জামাল উদ্দিন আমাকে টিউবওয়েল বসানোর স্থান নির্ধারণের ব্যপারে জিজ্ঞাসা করলে আমি চৌকিদার বাড়ীতে বসাতে বলেছি। আমি ভেবেছিলাম এটি আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে ফেনী সদরের এমপি বরাদ্দ দিয়েছেন।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি জামাল উদ্দিন বলেন, বরাদ্দের কাগজে মাস্টার রিমনের মোবাইল নাম্বার থাকায় তাকে স্থান নির্ধারণের জন্য ফোন দেয়া হয়েছিল । তিনি যেখানে বলেছেন সেখানেই বসানো হয়েছে। সকল দায়ভার তার।

হাজী রহিম উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকর চন্দ্র সাহা বলেন, টিউবওয়েলের ব্যপারে প্রাথমিকভাবে সহকারি প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ ব্যপারে তার দোষ থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন পরিচালনা কমিটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *