রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
মাছ ধরার জন্য খাল দখল করতে গিয়ে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও শ্রমিকলীগ নেতার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের নয়াভাঙ্গুনী খাল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে দশজন আহত হয়। আটক করা হয় ছয়জনকে।
জানা গেছে, গত দুই বছর ধরে ওই ইউনিয়নের নয়াভাঙ্গুনী নামক খালটি উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রওশন মৃধার লোকজনের ভোগদখলে। তাদের দাবি, জেলা প্রশাসন থেকে খালটি তিন বছরের জন্য ইজারা নিয়েছেন তারা। আরও এক বছর তাদের মেয়াদ আছে। কিন্তু কিছুদিন ধরে উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান শিবলীর লোকজন খালটি দখল করে মাছ ধরার চেষ্টা করছিল । এনিয়ে আওয়ামী লীগ ও শ্রমিকলীগ নেতার মধ্যে দ্ব›দ্ব চলছিল।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার খাল দখল করতে গিয়ে শ্রমিক লীগ নেতা রওশন ও আওয়ামী লীগ নেতা শিবলীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। প্রায় এক ঘন্টার এ সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুত্বর আহত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রওশন মৃধা বলেন, ‘তিন বছরের জন্য খালটি লিজ (ইজারা) নিয়েছি আমরা। এখনও প্রায় এক বছর আছে। কিন্তু ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শিবলীর লোকজন খালটি দখলের জন্য লাঠিসোটা নিয়ে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই হামলায় আমাদের ছয়জন লোক আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুত্বর আহত রনি মুন্সী, মিরাজ মুন্সি, রেজাউল মৃধা, রুমান মাতুব্বর ও কলি বেগমকে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে।’ এদিকে ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান শিবলী বলেন, ‘আমি অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য ঢাকা এসেছি। শুনেছি, নয়াভাঙ্গুনি ঝামেলা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’ তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা শিবলীরও চারজন লোক এ ঘটনায় আহত হয়।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘সংঘর্ষে এক পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছে। অপর পক্ষের তথ্য নিচ্ছি। ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।