শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

ফেনী :
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল আবছার হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে উক্ত মামলার বাদী গোলাম কিবরিয়ার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ফেনীর অতিরিক্ত দায়রা জর্জ শাহ মোঃ কায়সার। এসময় আদালতে তিন আসামি উপস্থিত ছিলেন। বাদী পক্ষের আইনজীবি জাহাঙ্গীর আলম নান্টু বলেন চাঞ্জল্যকর ও ঐতিহাসিক এ মামলার বাদীর সাক্ষ্য গ্রহনের মাধ্যমে সাক্ষ্যগহণ শুরু হয়েছে। বাদী আজ আদালতে তাঁর বড় ভাই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল আবছার হত্যার বিষয়ে আসামীদের উপস্থিতিতে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। পরবর্তি তারিখেও বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে ১১জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় সোনাগাজী থানার ভেতরে রাজাকার শাহজাহান আকবরের বিচার করার সিদ্ধান্ত নেন এফএফ কমান্ডার নুরুল আবছার। রাজাকার শাহজাহানকে বাঁচাতে তাঁর ভাই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ নাছির উদ্দিন ও মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন আবছারকে হত্যার নির্দেশ দেন । ওইসময় দক্ষিন চর ছান্দিয়ার মুক্তিযোদ্ধা আর্মি মনির আহমদ ও তুলাতুলির মাহবুবুুুল হক জোরপুর্বক নুরুল আবছারের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। এর পর সুজাপুরের আবুল কাশেম কাজি ৮রাউন্ড গুলি করেন। এতে ঘটনাস্থলেই কমান্ডার নুরুল আবছার নিহত হন। এরআগে, আমলী আদালতে বিভিন্ন সময়ে ১৬৪ ধারায় ঘটনার বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার আজিজুল হক চাষী, মফিজুল হক পাটোয়ারি, কেএম খুরশিদ আলম, ডেপুটি কমান্ডার দুলাল আহমেদ, আবু তাহের তানু, মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অবঃ) মো: ছাদেক, আবদুল হালিম ও মোঃ হোসেন আহম্মদ।

উল্লেখ্য, রাজাকার শাহজাহান আকবারকে রক্ষা করতে ১৯৭১সালের ১১ডিসেম্বর সোনাগাজী থানার ভেতরে গুলি করে হত্যা করা হয় এফএফ ফোর্সের কমান্ডার নুরুল আবছার কে। ২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারীতে সাংবাদিক সৈয়দ মনির আহমদ সম্পাদিত ‌‍‍‌‌ ‘শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল আবছার স্মরনিকা ” মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর নজরে পড়লে তাঁরই পরামর্শে গত ১৩এপ্রিল ২০১৭ তারিখে ৪আসামির নাম উল্লেখ করে, ফেনী আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন শহীদ কমান্ডার নুরুল আবছার এর ছোট ভাই গোলাম কিবরিয়া।
উক্ত মামলায় নাছির উদ্দিন(৭৮), মোশারফ হোসেন(৭৭) ও আবুল কাশেম কাজি(৭৩) জামিনে আছেন এবং অপর আসামি রাজাকার শাহজাহান আকবর(৭২) পলাতক রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *