সুগন্ধার তীঁরে পোড়া লঞ্চে ছবি হাতে নিখোঁজদের খোঁজে স্বজনরা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি :
লঞ্চ ট্রাজেডি ঝালকাঠিতে যাত্রীবাহী লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের তিন দিন পার হলেও থামছেইনা নিখোঁজদের
স্বজনের আহাজারি। পোড়া লঞ্চেই জীবিত নয় মৃত স্বজনের মরদেহ
খুঁজতে এসেছেন নিখোঁজদের খোঁজে স্বজনরা ।

দুর্ঘটনা কবলিত স্থান ঝালকাঠির দিয়াকুল গ্রাম থেকে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটি ঝালকাঠি লঞ্চ
টার্মিনালে রাখা হয়েছে। সুগন্ধার তীরে ও পোড়া লঞ্চে ছবি হাতে নিখোঁজদের খোঁজে স্বজনরা
ছুটা ছুটি করছে।

পুড়ে যাওয়া লঞ্চে আজও ( ২৬ ডিসেম্বর ) নিখোঁজদের স্বজনরা আহাজারি করেন। জীবিতনা হোক মরদেহের খোঁজে লঞ্চের বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়ান তারা। এসময় তাদেও কান্নায় হৃদয় বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

সুগন্ধা পাড় যেন ভারী হয়ে আছে স্বজন হারাদের আহাজারিতে। বাতাসে দগ্ধ লাশের গন্ধ। রবিবার ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং
কোস্টগাডের সদস্যরা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধার অভিযান। দায়িত্ব রত কোস্টগার্ড জানিয়েছেন, তাদের উদ্ধার অভিযান পরবর্তী নির্দেশনা না
আশা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

ঝালকাঠি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেচ্ছাসেবক রাস্থানীয় পৌরমিনি পার্কে এ পর্যন্ত নিখোঁজ ৫৭জনের তালিকা পেয়েছে। তবে
নিখোঁজদের সন্ধানের এখনো ঝালকাঠি আসছেন স্বজনরা। অপরদিকে ওই দিন যাত্রীদেও বাঁচাতে এগিয়ে আসেন ঝালকাঠি সদরের
দিয়াকুল গ্রামবাসী। জীবনের ঝুঁকিনিয়ে তারা দগ্ধ যাত্রীদেও উদ্ধারে সহযোগিতা এবং পরবর্তী সেবার ব্যবস্থা করেন। সুগন্ধার তীরে পোড়া লঞ্চে ছবি হাতে নিখোঁজদের খোঁজে আশা স্বজনদেও সার্ভিক সহযোগীতায় প্রশংসায় ভাসছেন দিয়াকুল বাসী।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আশা বরগুনা গামী এম ভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দগ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত ৪০জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছে আরও শতাধিক। দগ্ধদেও বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ঢাকায় ভর্তি করাহয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *