কেয়ারটেকারের দখলে সম্পত্তি, হয়রানির শিকার মালিক

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি :
সম্পত্তি দেখাশুনার জন্য বসতঘর নির্মাণ করে রাখা হয় পাহারাদার (কেয়ারটেকার), সেই পাহারাদারই এখন জমি দখল করে আছেন। জমির মালিক কোনভাবেই তাকে সরাতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সুরহার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা মানছেন না সম্পত্তির পাহারাদার শহিদুল ইসলাম। তিনি নিজেই এখন মালিকানা দাবি করছেন।

এমনকি উল্টো মামলা দিয়ে জমির প্রকৃত মালিক ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে ট্রেড প্রশিক্ষক পদে কর্মরত চন্দ্রিমা রিমুকে হয়রানি করা হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে আসামি করা হয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ২২ জনকে। সোমবার সকালে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন চন্দ্রিমা রিমু। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিমুর বোন মরিয়ম সিমু, অটোরিকশাচালক নবাব আলী হাওলাদার, প্রতিবেশী কামাল হোসেন ও গৃহকর্মী তানিয়া বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে চন্দ্রিমা রিমু দাবি করেন, তিনি রাজাপুর উপজেলার পশ্চিম নৈকাঠি এলাকার মিল্লাত হোসেনের মেয়ে এবং অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার সিকদারের স্ত্রী। তাঁর স্বামী ১৯৯৫ সালে ১৩ শতাংশ জমি কিনেন। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি স্বামীর কাছ থেকে তিনি ওই জমির মালিকানা নেন। যা তাঁর নামে বিএস রেকর্ড সম্পন্ন হয় ২০০৫ ও ২০০৬ সালে। সম্পত্তি দেখাশুনার জন্য কেয়ারটেকার হিসেবে স্বামীর সৎ বোনের ছেলে শহিদুল ইসলামকে কাঠের ঘর তুলে দেয়। সেই ঘরেই শহিদ পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। শহিদুল ঢাকায় একটি বাড়ির গার্ড হিসেবে দায়িত্ব চাকুরি পেলে তাঁর মা, স্ত্রী ও সন্তানকে ওই জমি দেখাশুনার জন্য রেখে যান।

জমিতে তিনি ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি নিলে শহিদকে কেয়ারটেকারের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। এতেই শহিদুল ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগালি দিয়ে জমির মালিকানা দাবি করেন। গত ৪ নভেম্বর লেবার পাঠিয়ে কাজ শুরু করলে শহিদ লোকজন নিয়ে বাধা দেয়। এ ঘটনায় শহিদ উল্টো বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় ২২ জনকে আসামি করে একটি ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ মামলা দায়ের করেন। গত ৭ নভেম্বর ঝালকাঠির আদালত থেকে তাঁরা জামিনে মুক্ত হন।

চন্দ্রিমা রিমু অভিযোগ করেন, আদালত থেকে যাতে আমাদের জামিন না হয় শহিদ সেই চেষ্টা করেছে। তাঁর লোকজন দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে সম্মানহানি করছেন। তাঁরা আমার জমি জোর করে দখলে আছে, উল্টো আমার বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করছে। আমি আমার জমি দখলমুক্ত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *