ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনী সদর উপজেলার পাচঁগাছিয়া ইউনিয়নের ইলাশপুর গ্রামের বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবন ও মাদক বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকার উঠতি বয়সী যুবকদের নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন সচেতন অভিভাবক মহল। তারা এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা কামনা করেছেন।
জানা যায়, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন একাধিক স্থানে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে মাদকের বেচাকেনা হয়। এতে স্থানীয় ও বহিরাগত মাদক ব্যবসায়ীরা বেচাকেনায় অংশ নেন। শহরের উল্টো পাশে হওয়ায় প্রশাসনের লোকজনের নজর এড়িয়ে লোক পাহারা দিয়ে চলে মাদক সেবন। মাদকের ভয়াল ছোবলে এলাকার স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ও যুবকরা আস্তে আস্তে মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। এতে অভিভাবক মহল ছেলে সন্তান নিয়ে চরম দুঃশ্চিতায় আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক অভিভাবক জানান, ইলাশপুর এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে এনামুল হক, মিজানুর রহমানের ছেলে মিরাজুর রহমান শশি, ইলিয়াসের ছেলে ইকবাল, আহসান হাবীবের ছেলে সুফিয়ান আহসান অয়ন, আবু তাহেরের ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক, আবুল কালামের ছেলে স্বপন, কাজি আমানউল্লার ছেলে জুয়েল, হেঞ্জু মিয়ার ছেলে দেলোয়ার, জহুর আলী সওদাগর বাড়ির আক্কাস আলী, সামছু ড্রাইবারের ছেলে শামিম, অদু মেম্বার বাড়ির হানিফ, মফিজুর রহমানের ছেলে শাহাদাত হোসেনসহ আরো কয়েকজন সহযোগী মিলে মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলে ইলাশপুর, বাথানিয়া, বিসিক চাড়িপুর গ্রামসহ ফেনী শহরের বিভিন্ন স্থানে বেচাকেনা করেন।
মাছ ও গাছ বহনকারি গাড়ি সহ নানান মাধ্যমে মাদক দ্রব্যাদি দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি ও পাচার করে থাকেন। ইলাশপুরে সড়কের পাশে প্রকাশ্যে মাদক সেবন চলে নিয়মিত। বাধা দেয়ায় বারবার হামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
এ ব্যাপারে প্রতিকার কামনা করে স্থানীয় এলাকাবাসীরা জেলা প্রশাসন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ প্রশাসন সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। কোন প্রতিকার পাননি। পাঁছগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মানিক বলেন, ইলাশপুর মাদকের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। আমরা পুলিশের সহযোগীতায় অনেকটা নিয়ন্ত্রনে এনেছি।
ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নিজাম উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে আমরা অবগত আছি। মাদকের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ প্রশাসনের অভিযান অব্যহত আছে। যাদের বিষয়ে অভিযোগ আনা হয়েছে এরা বেশিরভাগই মাদক সেবি। ইলাশপুরেও পুলিশ বহুবার অভিযান চালিয়েছে। যারা বেচাকেনার সাথে জড়িত আশাকরি শীঘ্রই সকলে আইনের আওতায় আসবে।