জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ-
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি হামিদুর রহমানের ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী ২৮ অক্টোবর।
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার খর্দ্দখালিশপুর গ্রামের এ বীর সন্তান ১৯৭১ সালের এই
দিনে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই সীমান্তে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর
সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে শহিদ হন।
ঝিনাইদহ জেলা শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত
হামিদুর রহমানের গ্রাম খর্দ্দখালিশপুর। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে হামিদুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে
যোগ দেন। মৌলভীবাজার জেলার ধলাইতে ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি।
কৌশলগত দিক দিয়ে এ ঘাঁটি দখল জরুরি হয়ে পড়ে মুক্তিবাহিনীর জন্য। ২৮ অক্টোবর
ধলাই পাকিস্থানী সেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে মুক্তিবাহিনী। তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। দুটি
মেশিনগান পোস্ট থেকে তুমুল গুলিবর্ষণ করতে থাকে পাকিস্থানী সেনারা। মেশিনগান
পোস্ট ধ্বংসের দায়িত্ব পড়ে হামিদুর রহমানের ওপর। এ বীর এগিয়ে যান। ধ্বংস করেন
মেশিনগান পোস্ট। মুক্তিবাহিনীর দখলে আসে পাকিস্থানী সেনা ঘাঁটি। শত্রুর গুলিতে
তিনি শাহাদত বরণ করেন। তার সহযোদ্ধাগণ মরদেহ ভারতে নিয়ে ত্রিপুরার আমবাশা
এলাকায় সমাহিত করেন।
২০০৭ সালে এ বীরের দেহাবশেষ ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে
ঢাকার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পুনরায় সমাহিত করা হয়েছে। বীরশ্রেষ্ঠ
হামিদুর রহমানের ভাইপো হাফিজুর রহমান সরকারিভাবে শাহাদাত বার্ষিকী পালনের দাবি
জানান।
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি হামিদুর রহমান সরকারি কলেজের পক্ষ থেকে দিনটি
পালনের জন্য আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সরকারি শহিদ
সিপাহি বীরশ্রেস্ট হামিদুর রহমান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমিনুল হক দেশের
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বীরশ্রেষ্ট হামিদুর রহমানের শাহাদতাবার্ষিকী পালনের আহ্বান
জানান।