ফেনী :
কুমিল্লা নোয়াখালীসহ সারাদেশে দূর্গা পূজামন্ডপ ও সংখ্যালঘুদের বাড়ী-ঘরে হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদের কেন্দ্রিয় কর্মসূচির শুরুর পূর্বেই ফেনীতে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এতে ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন,জেলা যুবলীগের সভাপতি দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, যবলীগ নেতা ডালিম , ফজলুল হক (হক সাহেব),মাস্টার শিমুল মমিন, আ.লীগ নেতা শেখ মামুন,ছাত্রলীগ নেতা আনিছুল হক সোহেল সহ অন্তত ৫০জন আহত হয়েছেন।
শনিবার বিকাল পৌনে ৫টায় ফেনী জয়কালী বাড়ী মন্দির থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন সমবেত হয়ে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে যাওয়ার পথে ফেনী বড় মসজিদ থেকে শত শত মুসল্লি সমবেত হয়ে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মুখোমুখি অবস্থান নিলে পুলিশ সংখ্যালঘু সম্পাদায়ের লোকজনকে মন্দিরে প্রবেশ করিয়ে দেয়।
একদল মুসল্লি পুলিশ বাধা উপেক্ষা করে মিছিলনিয়ে শহরের বাঁশপাড়া দূর্গা মন্দিরের উপর আক্রমন চালায় এসয় বাঁশপাড়া সড়ক ও ট্রাংক রোড়ের বিভিন্ন পয়েন্টের প্রায় তাদের ইট ও লাঠির আঘাতে ৫০জন আহত হয়েছে।
মুসল্লি বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে যেতে চাইলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে মুসল্লি বিক্ষোভকারীরা কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এদের একটি অংশ আশপাশের অলিগলিতে অবস্থান নেয়।
পুলিশ তাদের বের হওয়ার সুযোগ করে দিতে কিছুটা দূরে অবস্থান নেয়। কিন্তু তারা সরে না গিয়ে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। ৮ বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
সন্ধ্যায় ৬টায় মারগিবের নামাজ শেষে কয়েকশ মুসল্লি বড় মসজিদ থেকে মিছিলটি নিয়ে এগোতে থাকে। পুলিশের বাধার মুখে ছত্রভঙ্গ হয়ে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন গলিতে ঢুকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে থাকে। পুলিশ গ্যাস ও শটগানের গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের ফলে কযেক ঘন্টা এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকে।
ফেনী জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল জানান কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে জেলা উপজেলার সংখ্যালঘু সম্পদায় মানবনন্ধন অংশ নিতে ফেনী জয়কালী বাড়ীতে সমবেত হয়ে পুলিশের পরামর্শে বিকাল পোনে ৫টায় শহীদ মিনারে যাওয়ার পথে মসজিদে পূর্ব থেকে অবস্থান করা শত মুসুল্লী বের হয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিলে পুলিশ আমাদেরকে জয় কালী মন্দিরে প্রবেশ করিয়ে দেয়।
আমরাও কর্মসূচি পালন না করে নিরাপত্তার শার্তে মন্দিরে ফিরে যাই। কিন্তু বড় মসজিদ থেকে বিএনপি জামাত ক্যাডাররা মুসল্লি বেশে দফায় দফায় বিভিন্ন মন্দিরের উপর আক্রমন চালায়।
জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শুকদেব নাথ তপন জানান, সংখ্যালঘুদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ও মন্দিরের উপর পরিকল্পিত হামলা। অাজ কোন পূজা নেই কোন অনুষ্ঠানও নেই। কেন্দ্রিয় কর্মসূচি পালন করতে জেলা উপজেলা থেকে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে সময় নিয়ে মন্দিরে জড় করা হয়। পুলিশের লাঠির আঘতে অনেক সংখ্যালঘু নেতা আহত হয়েছে।
জেলা পুশিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী জানান আমারা ঘটনার শুরু থেকে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে চেষ্টা করছি। মিছিল শুরু হলে আমরা তাদের বাধা দেইনি। মুসল্লিবেশী কিছু যুবক আমাদের দিকে ইটপাটকেল ছোড়ে। পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।