রামগড়ে মসজিদের ইমামকে লাঞ্চিত করল প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা

রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি :
পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্র রামগড়ের অফিস স্টাফ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর খবর, কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মসজিদের মাইকে প্রচার করায় কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.এস এম ফয়সাল মসজিদের ইমাম মাওলানা এমদাদুর রহমান (মামুন) কে দাঁড়ি নিয়ে কটাক্ষ ও লাঞ্ছিত করা অভিযোগ ওঠেছে।

দপ্তর প্রধান হিসেবে ড.এসএম ফয়সাল রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন কায়দায় শ্রমিক স্টাপ, এবং মসজিদের ইমান মোয়জ্জেম কে হেনেস্থা করেছে , এ বিষয়ে মসজিদের অস্থায়ী কমিটি”র সদস্যরা অবগত রয়েছেন।

কৃষি গবেষনা কেন্দ্রের মসজিদের ইমাম মাওলানা ইমদাদুর রহমান মামুনকে বিভিন্ন সময়ে অপমান অপদস্ত হতে হচ্ছে এ কর্মকর্তার হাতে।মাওলানা ইমদাদুর রহমান মামুন গনমাধ‍্যমে দেওয়া এক লিখিত ব্রিফিং এ জানান গত কয়েক মাস পূর্বে কৃষি গবেষনায় কর্মরত বৈজ্ঞানিক সহকারী মোহাম্মদ করিম মন্ডল মারা যাওয়ার পর তাকে আমি গোসল ও জানাজা ব‍্যাবস্থা করি,এবং তার গ্রামের বাড়ি লাশ নেওয়ার ব‍্যাবস্থা করে দেওয়ার কারণে গবেষণার দপ্তর প্রধান ড.এস এম ফয়সাল আমাকে অর্কথ‍্য ভাষায় গালি গালাজ করেছেন,কেন আমি করিম মন্ডলকে গোসল করালাম কেন এম্বোলেন্স ঠিক করাম এজন্যে।

বৈজ্ঞানিক সহকারী করিম মন্ডলের স্ত্রী এবং ছোট সন্তানদের প্রতিও ড.এস এম ফয়সাল সাহেব অমানবিক আচরণ করেছেন,তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী সন্তানকে সরকারি কোয়ার্টারে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন ।পরে রামগড় হাসপাতাল থেকেই তার লাশ গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ পাঠানো হয়।মাওলানা এমদাদুর রহমান( মামুন )আরো বলেন ২সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের অফিস স্টাফ মুজিবুর রহমান ইন্তেকাল করেন,তিনি দীর্ঘদিন কৃষি গবেষনায় চাকরীকালে এলাকার মানুষের মতই চলাফেরা করেছিলেন,এবং তার ৩ মেয়ের জামাতার বাড়িই রামগড়ে।

আমি তার ইন্তেকালের বিষয়টি মসজিদের মাইকে”র মাধ্যমে প্রকাশ করলে সকাল ৭টার সময় কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ড.এস এম ফয়সাল আমাকে মসজিদ থেকে ডেকে নিয়ে বৈজ্ঞানিক সহকারী হাসান,গাড়ির ড্রাইবার মোস্তাফা,ক‍্যাশিয়ার সেলিম এর উপস্থিতিতে বিভিন্ন খারাপ ভাষায় গালিমন্দ করেন,আমি কেন তার অনুমতি ছাড়া মুজিবুরের মৃত্যুর খবর মাইকে বললাম,আমি এবিষয়ে তার কাছে Sorry বলে মাফ পযর্ন্ত চেয়েছি,তবুও তিনি আমার সাথে খারাপ আচারণ করেই যাচ্ছেন,তিনি আমার মুখের দাঁড়ি নিয়েও কটাক্ষ করেন।যে ভাষায় তিনি আমাকে গালি গালাজ করেছেন তা ভাষায় প্রকাশ করার মত না, এত বড় অফিসারের মুখে এসব ভাষা মানায় না,ড.এসএম ফয়লাস মসজিদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যোগদানের পর থেকেই আমাকে অপমান অপদস্ত করে আসছে,বার বার হুমকি দিচ্ছে আমাকে মসজিদ থেকে চাকুরী চু‍ত‍্য করবে। অফিসের সবাইকে তিনি সব সময় ভয় আতঙ্কে রাখেন,অফিসের কোন লোকের কাছে কোন বিষয়ে সহযোগিতা পাওয়া যায় না,সবাই ফয়সাল সাহেবের ভয়ে মুখ বন্ধ রাখেন।এবিষয়ে জানতে চাইলে ক‍্যাশিয়ার মোঃ সেলিম, বৈজ্ঞানিক সহকারী সফন,হাসান, কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

সমাজ পরিচালনা কমিটি সুত্রে জানা গেছে পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের এই মসজিদ দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর সমাজ এবং কেন্দ্রের প্রধানের সহযোগিতায় চলে আসতেছে,কিন্তু বর্তমান কেন্দ্র প্রধান ও (পদ অধিকারবলে) মসজিদ সভাপতি যোগদানের পর থেকে তিনি মসজিদ এবং ইমাম মোয়াজ্জেম নিয়ে নানান তালবাহনা শুরু করেছেন, রামগড়ের ২য় জামে মসজিদ হিসেবে পরিচিত সয়েল বাগান জামে মসজিদ নামে এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.এসএম ফয়সালের কারণে বন্ধ হয়ে যাবার পথে।

রামগড়ে বিভিন্ন সরকারি অফিস আঙ্গিনায় মসজিদ আছে যেমন রামগড় থানা মসজিদ যার পরিচালনা কমিটির সভাপতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা , কোট মসজিদের উপজেলা নির্বাহি অফিসার ,ওয়াপদা মসজিদের বিদ্যুৎ প্রকৌশলী ,কিন্তু ঐসব মসজিদ পরিচালনায় কোন সমস্যা হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *