সালথা প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় দোকান ভাড়া কে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনায় বৃদ্ধ নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে। নিহত বৃদ্ধের নাম মোঃ গোলাম মওলা (৭০), সে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের যদুনন্দী গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মরহুম গনি মোল্যার ছেলে।
রবিবার (১লা আগষ্ট) সন্ধ্যার পর এই ঘটনা ঘটে। নিহত গোলাম মওলার ২ স্ত্রী, ৯ ছেলে ও ৩ কন্যা ও নাতি নাতনীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রয়েছে।
এই ঘটনায় নিহত গোলাম মওলার তিন ছেলে কবির ম্যোল্য (৪০) মিলন মোল্যা (৩৫) এবং জসীম মোল্যা (২১) আহত হয়েছে। বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর পেয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার, ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ সুমিনুর রহমান, সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসিকুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার মোসারফ মোল্যার দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে গোলাম মওলার ছেলে কবির মোল্যা (৩৫)।
স্থানীয় দলাদলির কারনে মোসারফ মোল্যার ছেলেরা বেশ কয়েকদিন যাবত কবির মোল্যা কে দোকান ছেড়ে দিতে বলে। রবিবার সন্ধার পর কবির মোল্যা ও তার ভাই কালিনগর থেকে ফিরছিলেন।
যদুনন্দী নবকাম পল্লি বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজ গেটের সামনে পৌছলে মোসারফ মোল্যার দুই ছেলে আবু তালেব ও জুয়েল, পান্নু মাতুব্বরসহ ২০/৩০ জন লোক কবির মোল্যাকে ডেকে দোকান ঘর ছাড়তে বলে, কবির মোল্যা তাদের জানায় যে ঘর ছাড়ার বিষয়ে মোসারফ মোল্যার সাথে কথা হয়েছে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
গোলাম মওলা বাজারে বসে চা খাচ্ছিলেন, খবর পেয়ে গোলাম মওলা এগিয়ে গেলে তিনিও মারপিটের স্বীকার হন, এমতাবস্থায় গোলাম মওলা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে প্রথমে তাকে যদুনন্দী বাজারের দি স্কয়ার ডায়াগনিস্ট সেন্টারে নিয়ে যায়, সেখানে গোলাম মওলার অবস্থা খারাপ হলে তাকে মোকসেদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
নিহতের ছেলে ছামাদ মোল্যা, মিলন মোল্যা ও হিরোন মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, যদুনন্দী বাজারে আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে যদুনন্দী গ্রামের আবু তালেব মোল্যা, জুয়েল মোল্যা, পান্নু মোল্যা ও কামরুল গাজীসহ প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালায়। এ হামলার সময় আমাদের ও আমার বাবাকে লাথি কিল ঘুষিসহ ব্যাপক মারধর করে। এতেই সে মারা যায়। আমরা আমাদের বাবা হত্যার বিচার চাই।
এদিকে কামরুল গাজী বলেন, ঘটনার সময় আমি ওখানে ছিলাম না। খবর পেয়ে খন্দকার সাজ্জাদ ও আমি ঘটনাস্থলে আসি। তখন কোন মারামারী ছিলো না। অপরদিকে মোসারফ মোল্যা ও তার ছেলেদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসিকুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য লাশ ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রীয়াধীন রয়েছে।