যৌতুকের দাবীতে গৃহবধুকে হাত পা বেঁধে নদীতে ডুবিয়ে হত্যা চেষ্টা

প্রতিবেদক :
যৌতুকের দাবি পুরণ না করায় সুনামঞ্জের তাহিরপুরে মাইফুল নেছা (১৯) নামে এক গৃহবধুকে হাত পা বেঁধে নদীতে ডুবিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আহত অবস্থায় ওই গৃহবধুকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে শুক্রবার রাতে।
মাইফুল নেছা উপজেলার উওর বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদলার পাড় গ্রামের ক্বারী নিজাম উদ্দিনের মেয়ে।
এ ঘটনার অভিযুক্ত যৌতুক লোভী শশুর, স্বামী, দুই দেবর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

জানা গেছে, উপজেলার বাদলার পাড় গ্রামের ক্বারী নিজাম উদ্দিনের কনিষ্ট মেয়ে মাইফুল নেছার প্রায় আট মাস পুর্বে জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার চৌধুরীপাড়া গ্রামের সাজিদুল মিয়ার ছেলে আবু তাহের জান্নাতের সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হয়।

প্রায় ৫ হতে ৬ বছর পুর্ব হতে উপজেলার বাদলার পাড় গ্রামে থেকে জান্নাত ও তার পরিবারের লোকজন পোল্ট্রি মোরগের ব্যবসা করে আসছিলো।
এদিকে বিয়ের পরপরই মাইফুল নেছার উপর পারিবারীকভাবে নেমে আসে ১ লাখ টাকা যৌতুকের খড়গ।

ডবয়ের পর গত সাত মাসে অসুস্থ্য পিতা ক্বারী নিজাম উদ্দিন ধার দেনা করে দু’দফায় ৫০ হাজার টাকা হাওলাত দেন মেয়ের জামাইকে।
এরপরও অসুস্থ পিতার জমি বিক্রি করে আরো ৫০ হাজার টাকার জন্য ঝগড়াঝাটি করে স্বামীর বাড়ি হতে ১৭ দিন পুর্বে পাঠিয়ে দেয়া হয় দরিদ্র পিতার বাড়িতে।

এদিকে শুক্রবার সন্ধায় পিতার বাড়িতে এসে শশুড়ের উপস্থিতিতে স্বামী আবু তাহের জান্নাত , তার তিন সহোদর ভাই মিলে তিন মাসের অন্তসত্বা গৃহবধুকে বেধরকভাবে মারপিট করে। এক পর্যায়ে হাত –পা মুখে স্কসট্যাপ লাগিয়ে বস্তার ভেতর ভড়ে গ্রামের পাশর্বর্তী ভাঙ্গার খাল নদীতে নিয়ে যায় গৃহবধুকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করতে।

বিষয়টি পাড়ার অন্যরা দেখে ফেলায় নদীর পানি হতে বস্তাবন্দি অবস্থায় ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করেন।
শনিবার বিকেলে গৃহবধুর পিতা উপজেলার বাদলার পাড় গ্রামের ক্বারী নিজাম উদ্দিন ওই বর্বর ঘটনার কথা বলতে গিয়ে বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছিলেন।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *