সাতকানিয়ায় রাতের আঁধারে মহাসড়ক মেরামত কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ার আঁন্দার মা’র দরগাহ এলাকায় দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ রহস্যজনক কারনে বৃষ্টির মধ্যে রাতের আঁধারে মহাসড়ক মেরামতের কাজ শুরু করেছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে দেবে গেলে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ নতুনভাবে মেরামত করার নিমিত্তে তা’ খনন করে পুনারো বিটুমিন মিশ্রিত ইট পাথরের সুরকি তুলে নেয়।

প্রায় দু’মাস একটি ব্যস্ততম মহাসড়কের মেরামত কাজ না করে ফেলে রাখে। এ অবস্থায় দীর্ঘ প্রায় ২ মাস যানবাহনসহ ওই মহাসড়কে যাতায়াতকারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। এ ধরনের জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ সরকারী দপ্তর থেকে বিভাগীয়ভাবে সম্পন্ন করার নির্দেশনা ও নিয়ম থাকলেও দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ তা না করে এ কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করেছেন। যার কারনে ঠিকাদার নিয়োগসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দীর্ঘ সূত্রিতার সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করে গত। (২২ জুন) মঙ্গলবার রহস্যজনকভাবে রাত প্রায় ১১টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে গভীর অন্ধকারে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসএবি কন্সট্রাকশন মহাসড়ক মেরামতের কাজ শুরু করে।

বিষয়টি নিয়ে এলাকায় কানাঘুষা শুরু হলে এ প্রতিবেদক সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে রাতের অন্ধকারে মেরামত কাজ শুরুর সত্যতা পাওয়া যায়। এ সময় এসএবি কন্সট্রাকশনের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোক্তার আহমদের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নির্দেশে আমি কাজ শুরু করেছি। মেরামত কাজটি দ্রুত করার জন্য সড়ক বিভাগ থেকে নির্দেশনা রয়েছে। তাই রাতে করা হচ্ছে।

স্থানীয় এক ঠিকাদার হোসেন উদ্দিন আহমদ ভূট্টো বলেন, রাতের আঁধারে কাজ করার কোন মানে নেই। এটা নিঃসন্দেহে দুই নন্বরি। তাছাড়া বৃষ্টির পানির মধ্যে বিটুমিনের কাজ করার প্রশ্নই উঠেনা। এটা কোন টেকসই হবে না।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে এসএবি কন্সট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারী সালেহ আহমদ বাবু বলেন, রাতে মহসড়ক মেরামতের বিষয়টি আমি জানিনা, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি, প্রয়োজনে কাজ বন্ধ থাকবে বলেই তিনি লাইন কেটে দেন কিন্তু বৃষ্টির পানির মধ্যেই তিনি মেরামত কাজ শেষ করেন।
এলাকাবাসীর অনেকে বলছেন ভিন্ন কথা চলতি অর্থ বছর শেষের দিকে সে কারনে জুন ফাইন্যালে সরকারী অর্থ ভাগাভাগি করতে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের জোগসাজসে তড়িগড়ি করে কাজ শেষ করতে রাতের আঁধারে এ লুকোচুরি।

এ ব্যাপারে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *