বাংলার দর্পন–
দৈত্যাকার বা দু’মুখো কচ্ছপের রূপকথা বাচ্চারা বেশ ভারোবাসে। মনে মনে কচ্ছপের তেমন একটা চেহারাও তৈরি করে ফেলে তারা। কিন্তু এবার একটি কচ্ছপ শুধু বাচ্চাদেরই না, বড়দেরও রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। বাস্তবের মাটিতেই খুঁজে পাওয়া গেছে অদ্ভুত ধরনের এক কচ্ছপ। যার দু’টি মাথা ও ছ’টি পা।
এক্কেবারে যেন রূপকথার কাহিনী থেকে বাস্তবে নেমে এসেছে কচ্ছপটি। অন্যরকম কচ্ছপটিকে চীনের শানজি প্রদেশের একটি মাছ ও ফুল বিক্রির দোকানে প্রথম দেখা যায়। দোকানের মালিক বাজারে গিয়েছিলেন এক বাক্স ব্রাজিলীয় কচ্ছপ কিনতে। ফিরে এসে দেখেন, তার দোকানের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে এই ভিন্ন রূপের প্রাণীটি। তার বয়স ৩ মাসের কাছাকাছি। হাঁটাচলা আর ৫টা কচ্ছপের মতোই। কিন্তু পায়ের সংখ্যা চারের পরিবর্তে ছ’টি। আর দু’দিকে বেরিয়ে রয়েছে দু’টি মাথা।
শানজি প্রদেশের মেডিক্যাল অ্যান্ড লাইফ সায়েন্স ইনস্টিটিউশনের গবেষকরা কচ্ছপটি পরীক্ষা করেছেন। তাদের মতে, কচ্ছপের শারীরিক গঠন স্বাভাবিক নয়। বংশগত কোনো রোগ বা শারীরিক সমস্যার কারণেই কচ্ছপটি একটি অতিরিক্ত মাথা ও দু’টি অতিরিক্ত পা নিয়ে জন্মেছে। মানব জাতির ক্ষেত্রেও এই রোগে আক্রান্ত হয় অনেক শিশু। দেখা যায় একটি শরীরের মধ্যে দু’টি মাথা বা অতিরিক্ত হাত পায়ের অস্তিত্ব। তবে রোগ যাই হোক না কেন, কচ্ছপের এমন বিরল রূপ দেখতে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, যেমনটা ছোটবেলায় বইয়ে পড়েছিলেন,
দুই মাথা ও ছয় পাওয়ালা কচ্ছপ!
