প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমি চাই কোম্পানীগঞ্জে শান্তি। প্রথমে ১১টা প্রস্তাব দিয়েছি। কিছু প্রস্তাব মানেনা, আমাদের দল থেকেও বাঁধা আছে।
এখানে সকল দলে রাজনীতি করবে এটা মানেনা, ইউনিয়ন পরিষদের ভোট পেয়ার হবে সেটাও মানেনা। এই রকম কিছু দাবি মানেনা। তাহলে আমি বলেছি ঠিক আছে চারটি দাবি মানেন। প্রথমত এখানকার অস্ত্রগুলো উদ্ধার করেন। জেলে যারা আছে তাদেরকে মুক্ত করে আনেন। মামলাগুলো কিভাবে সমাধান করা যায়, সেই প্রক্রিয়া শুরু করেন। যে অপরাজনীতি চলতেছে এগুলো থেকে মানুষকে মুক্ত করুন।
মঙ্গলবার (১ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে ঈদুল ফিতর পরবর্তী নিজের অনুসারীদের সাথে চা চক্র অনুষ্ঠানে বকৃক্তাকালে কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা পানি হাতে শপথ করে বলেন, আমার মৃত্যুর পর যেন আমার তিন ভাগিনা ও বাদল আমার জানাযায় না আসে। আর তাদের যদি আমার আগে মৃত্যু হয়, আমিও তাদের জানাযায় যাবো না। কেন যাবনা এটা পরবর্তী পর্যায়ে বলবো।
কাদের মির্জার তিন ভাগিনারা হলো, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের (একাংশ) মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত ও রামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সালেকীন রিমন। ওরা তিনজনই কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী।
বসুরহাট পৌরসভার সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনকালীন সময় থেকে অপরাজনীতি, চাকুরী বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য সহ নানা ইন্স্যুতে সত্য বচন করে আলোচনায় আসেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। সেই সময় থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সাথে মির্জার বিরোধের পাশাপাশি তিন ভাগিনার বিরোধও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
চা চক্র অনুষ্ঠান অন্যানোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কাদের মির্জা সমর্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো.ইউনুস, রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়রম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরী প্রমূখ।
নোয়াখালী।