কমলনগর (লক্ষ্মীপুর)প্রতিনিধি:
নদী ভাঙ্গনরোধে তীর রক্ষাবাঁধ নির্মাণের প্রকল্পটি আগামীকাল ১লা জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক) সভায় অনুমোদনের দাবীতে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা।
সোমবার(৩১ মে) সকালে কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলার মাতাব্বরহাট বাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরে এ মানববন্ধন পালন করা হয়।
মানববন্ধনে কয়েক হাজার ভাঙ্গনকবলিত নারী-পুরুষ অংশ নেয়।
এসময় মেঘনার আগ্রাসী ভাংগন থেকে কমলনগর-রামগতিকে রক্ষায় ভাংগন প্রতিরোধে তীর রক্ষাবাঁধ নির্মাণের প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন বক্তারা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চের আহবায়ক এডভোকেট আবদুস সাত্তার পলোয়ান, রামগতি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন হেলাল, চর ফলকন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হারুনুর রশিদ, মাতাব্বরহাট সমাজকল্যান পরিষদের সভাপতি ওমর ফারুক, কমলনগর প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা সাজ্জাদুর রহমান, স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম খলিল ও পাটোয়ারীর হাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিব হোসেন লোটাস প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, নদী ভাঙ্গনে রামগতি-কমলনগর উপজেলার প্রায় তিনশ বর্গকিলোমিটার এলাকা বিলিন হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২৬টি বাজার ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ, রাস্তাঘাট ও সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে।
লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ বাস্তু ভিটা হারিয়ে যাযাবর জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থায় আগামী একনেক সভায় নদীর তীর রক্ষাবাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য রামগতি-কমলনগরের প্রায় ৭লাখ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আশার বুক বাঁধছেন বলে জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলার বড়খেরী, লুধুয়া বাজার ও কাদির পন্ডিতেরহাট এলাকায় রক্ষা বাঁধ শীর্ষক প্রকল্পটি সম্পূন্ন জিওবি অর্থায়নে মোট ৩ হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকার প্রাক্কালিক ব্যায়ে ২০২১ সালের ফ্রেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের নিমিত্তে আগামীকাল ১ জুলাই একনেক সভায় উপস্থাপন জন্য সার সংক্ষেপ (পতাকা-ক) এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
উক্ত প্রকল্পটির খসড়া প্রণয়ন সার সংক্ষেপ (পতাকা-ক) চলতি মাসের ১৭ তারিখে পরিকল্পনা মন্ত্রী চুড়ান্ত স্বাক্ষরে অনুমোদিত হয়ে একনেক সভায় উপস্থাপনের জন্য চুড়ান্ত করা হয়। এতে রামগতি-কমলনগরের ৭ লাখ মানুষ আশার আলো দেখছেন।