ফেনী’ প্রতিনিধি :
বহুল আলোচিত ফেনীর একরাম চেয়ারম্যান হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামি ৭ বছরেও অধরা।
২০১৪ সালের ২০ মে সকাল ১১টার দিকে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে, গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় একরামুল হক একরামকে।
তিনি ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
ফেনীর সর্বস্তরের মানুষ এখনো ফুলগাজীর একরাম চেয়ারম্যানকে বিনম্র চিত্তে স্মরণ করেন |
হত্যার পরদিন নিহতের বড় ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন।
ঘটনার তিন মাস পর ফেনী মডেল থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ৫৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০১৮ সালের ১৩ মার্চ এ মামলার ৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক।
হত্যাকান্ডের ৭ বছরেও ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে অধরা ১৭ জন। এরা হলেন, ফুলগাজী উপজেলা আ’ লীগের তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ চৌধুরী, জেলা মহিলা আ’ লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়লা জেসমিন মনির ছেলে আবিদুল ইসলাম আবিদ, চৌধুরী মো. নাফিজ উদ্দিন অনিক, আরমান হোসেন কাউসার, জাহেদুল হাসেম সৈকত, জিয়াউর রহমান বাপ্পি, জসিম উদ্দিন নয়ন, এমরান হোসেন রাসেল ওরফে ইঞ্জিনিয়ার রাসেল, রাহাত মো. এরফান ওরফে আজাদ, একরাম হোসেন আকরাম, শফিকুর রহমান ময়না, কফিল উদ্দিন মাহমুদ আবির, মোসলেহ উদ্দিন আসিফ, ইসমাইল হোসেন ছুট্টু, মহিউদ্দিন আনিছ, বাবলু ও টিটু।
বাকিরা কুমিল্লা ও কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।
এরা হলেন জেলা আ’লীগের তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির আদেল, ফেনী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও আ’ লীগ নেতা আবদুল্লাহিল মাহমুদ শিবলু, সাজ্জাদুল ইসলাম পাটোয়ারী ওরফে সিফাত, আবু বক্কার সিদ্দিক ওরফে বক্কর, মো. আজমির হোসেন রায়হান, মো. শাহজালাল উদ্দিন শিপন, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ওরফে আজাদ, কাজী শানান মাহমুদ, মীর হোসেন আরিফ ওরফে নাতি আরিফ, আরিফ ওরফে পাঙ্কু আরিফ, রাশেদুল ইসলাম রাজু, মো. সোহান চৌধুরী, জসিম উদ্দিন নয়ন, নিজাম উদ্দিন আবু, আবদুল কাইউম, নুর উদ্দিন মিয়া, তোতা মানিক, মো. সজিব, মামুন, রুবেল, হুমায়ুন ও টিপু।