নিজস্ব প্রতিবেদক :
জোড়া খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে ফের সড়কের পাশে পাওয়া গেল সিকান্দর আলী নামে এক অটো চালকের লাশ।
বুধবার সকালে খবর পেয়ে উপজেলার শরিফপুর গ্রামের সড়কের পাাশ হতে থানা পুলিশ লাশ উদ্যার করে জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত সিকান্দার উপজেলার সাচনাবাজার ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে।
বুধবার দুপুরে জামালগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এটি নিশ্চিত হত্যাকান্ড ,নিহত ব্যক্তির গলা, মুখ মন্ডল, মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, উপজেলার হরিপুর গ্রামের পেশায় অটো রিক্সা চালক মঙ্গলবার অটো নিয়ে বাড়ি হতে বের হলেও রাতে আর বাড়ি ফিরেননি।
বুধবার সকালে উপজেলার শরিফপুর সড়কে চালক বিহিন অটো রিক্সা পড়ে থাকার পর জনচলাচল বাড়তে থাকায় লোকজন সড়কের পাশে এক ব্যাক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন।
এদিকে পরিবার ও স্বজনরা রাতভর সন্ধানের পর বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে এসে সিকান্দর আলীর লাশ শনাক্ত করেন।
বুধবার দুপুরে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন গণমাধ্যমকে বলেন,জামালগঞ্জের বেহেলী আলীপুর গ্রামে গত রবিবার রাতে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে আলমগীর হোসেন ও তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম ছুরিকাঘাতে জোড়া খুনের শিকার হন। ওই ঘটনার চার দিনের মাথায় ফের জামালগঞ্জে অটো চালকের গলাকাটা লাশ উদ্যারের ঘটনায় জনমনে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। ।-১২.০৫.২১