চৌদ্দগ্রামে ঈদের কেনাকাটায় মানছে না স্বাস্থ্যবিধি

চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই চলছে ঈদের কেনাকাটা। পৌরসভাসহ উপজেলার সকল হাট বাজারের মার্কেট গুলোতে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ মানুষের ঢল নেমেছে।

প্রতিটি হাটবাজারের মার্কেট ও  শপিংমল এবং অলিগলিতে রয়েছে মানুষের উপছে পড়া ভিড়। এতে নেই কোন সামাজিক দুরত্ব, আবার ক্রেতা বিক্রেতাদের অনেকের মুুখে কোন মাস্ক। মানুষের এ উদাসীনতায় করোনার চরম ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। 

চৌদ্দগ্রাম পৌর শহরের বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমল, মিয়াবাজার, ধোড়করা বাজার, গুনবতী বাজার, মুন্সির হাট ও কাশিনগর বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের সব মার্কেটেই সামাজিক দূরত্ব না মেনে সাধারণ মানুষকে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। শিশুদের কোলে ও সাথে করে নিয়ে কেনাকাটায় নারীদের উপছে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। আবার অনেক বৃদ্ধও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এতে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই ক্রেতা বিক্রেতা কারোই। 

এসব মানুষের চলাচলে সিএনজি চালিত ও ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা গুলোতে নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি। প্রতিটি বাহনেই চাপাচাপি করে মানুষ যাতায়াত করছে। 

এছাড়া অতিরিক্ত মানুষ ও যানবাহনের চাপে  হাটবাজারের অলিগলিতে যানজট লেগে থাকে।   

ক্রেতাদের মধ্যে অনেকেই বলছেন, ঝুঁকি জেনেও ঈদের কেনাকাটা করার জন্য তারা বের হয়েছেন। অপরদিকে, ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বেচাকেনা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতারা তা মানতে চাইছেন না।’ 

চৌদ্দগ্রাম বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারন সম্পাদক ফারুক আহমেদ খান শামীম জানান, স্বাস্থ্য বিধি মানতে বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের অনুরোধ করা হয়েছে। 

বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি আকতার হোসেন পাটোয়ারী জানান, সরকারের নির্দেশনা মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য আমরা ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি। তবে ব্যবসায়ী থেকে ক্রেতারাই বেশি অমান্য করছে। 

চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, জনসচেতনা বাড়াতে  ক্রেতা ও সাধারন মানুষের মাঝে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিদিন মাস্ক বিতরন করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম. মন্জুরুল হক বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দশনা বাস্তবায়নে আমাদের মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসাধারণকে আরও অধিক সচেতন হতে হবে। ঘরের বাহিরে গেলেই মাস্ক পড়তে হবে । সচেতনতার মাধ্যমেই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব। এজন্য সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।’ এ ছাড়াও আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।

তবে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা কঠোর না হলে চৌদ্দগ্রামে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *