“মা আর আমি, দুইজনের সংসার আমাদের। বাবা কই আছে কে জানে! কখনো দেখিও নাই জ্ঞান হবার পর থেকে। ছোটবেলায় দেখতাম সবাই আফসোস করতো বাবা আমাকে আর আমার মা’কে ছেড়ে চলে গেছে বলে। তখন বুঝতাম না। কিন্তু বিশ্বাস করেন, আমার এই এখন পর্যন্ত একটুও আফসোস হয়না। যে আমার কথা ভাবেনাই তার কথা ভেবে আমি কেন কষ্ট পাবো?
মা আমাকে স্কুলে ভর্তি করার চেষ্টা করেছিল। ক্লাস টু পর্যন্ত পড়েছিলামও। কিন্তু মা মানুষের বাসায় কাজ করে যা পায় তাতে আসলে সে আর কুলিয়ে উঠতে পারেনি। এই দুই বছর ধরে আমি এখানে কাজ করি। এক বান্ডিল ফিতা কাটলে ২০০ টাকা হিসাবে মজুরি পাই। মায়ের একটু সাহায্য হয়। আর সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো এক বছর ধরে এখানে একটা নাইট স্কুলে সপ্তাহে একদিন একটু একটু করে আবার পড়াশুনা শুরু করছি। খুব ভালো পারিনা, তবে আস্তে ধীরে চেষ্টা চালিয়ে যাবো। এখানে কাজ করি সারাদিন, রাতে মায়ের সাথে একসাথে গল্পগুজব করি। সাবাই আফসোস করলেও একথা সত্যি, আমি আর মা আফসোস করিনা। আমরা আমাদের মত ভালো আছি।” – একটি ছোট তৈরি কারখানায় নিযুক্ত একজন তরুণ বালক।