প্রবীন অা’লীগ নেতা মফজল হকের অাহাজারি : জয়বাংলা শ্লোগানে কেড়ে নিল পা

সৈয়দ মনির অাহমদ > >
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলাস্থ চর দরবেশ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের দীর্ঘ ৩৯ বছরের সাবেক সভাপতি মো. মফজল হক।
যুদ্ধে খন্ড কালীন সময়ে অংশ নিয়েছেন,  বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধকালীন সোনাগাজী অাসনের এমপি এবিএম তালেব অালী,  সংগ্রাম কমিটির নেতা গোলাম মাওলা,  এনামুল হক এনাম মিয়া ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াছ এর নেতৃত্বে  মুক্তিযুদ্ধের অাগে ও পরে সকল কর্মসুচীতে অংশ নিয়েছেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও অা’লীগের দুর্দিনেও এক মুহুর্তের জন্য দলের বাহিরে যাননি। বিভিন্ন সময়ে প্রতিপক্ষের দ্বারা চাঁদাবাজী, ডাকাতি হামলা, মামলার শিকার হয়েছেন।    ১৯৯৮ সালে প্রথম বারের মত ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মফজল মিয়া জানান, ২০০১ সালে ১লা অক্টোবর’র নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করে।  তার মাত্র ১০ দিন পর সারাদেশে ন্যায় সোনাগাজীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে অা’লীগ নেতা কর্মীদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় ৮ নং স্লুইজ এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে তুলে নেয় তৎকালীন জলদস্যু কমান্ডার আবদুর রহিম মানিক,  তার সহযোগী ভাগিনা কালাম,  গাব্বা মাসুদ, সোলেমান ডাকাত,  শিপন ও  জসিম।
ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে নিয়ে গুলিকরে হত্যার চেষ্টা চালায়।  স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে,  দীর্ঘদিন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ছিলেন।  নিজের জমিজমা বিক্রি করে চিকিৎসা খরচ চালিয়ে নিঃস্ব হয়েও বাম পা অাজো খুড়িয়ে খুড়িয়ে প্রতিবন্ধির ন্যায় দিনাতিপাত করছেন।  জীবনের পুরো সময়টুকু জয়বাংলার জন্যই অতিবাহিত করেছেন।  দলের সুসময়ে জয়বাংলার ধারক বাহকেরা খবর নেয়না তাঁর। স্ত্রী,  ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে দুঃখে দিনাতিপাত করছেন তিনি।
ইউনিয়ন অা’লীগের সভাপতি মাস্টার সাহাবুদ্দিন জানান, দলীয় ভাবে তাঁর দুঃখ গোছানোর তেমন সুযোগ নেই।  সরকারের সকল বাজেট, উন্নয়ন প্রকল্প জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বন্টন হয়।  অনেক জনপ্রতিনিধির দুয়ারে ঘুরেও কোন সাড়া পায়নি মফজল মেম্বার।
সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা অা’লীগ নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, দলের সুসময়ে তৃনমুল পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর অাদর্শের সৈনিকদের মুল্যায়ন না হওয়ায় দলের ভিত্তি দুর্বল হচ্ছে। সর্বস্তরের  সকল জনপ্রতিনিধির প্রতি অনুরোধ এই মফজলদের ত্যাগের মুল্যায়ন করা হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *