সাহসী যোদ্ধা ছিলেন কমান্ডার নুরুল অাফছার – ক্যাপ্টেন সাদেক

 

ফেনী প্রতিনিধি  :ফেনীর সোনাগাজী অঞ্চলে ভারত থেকে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত এফ. এফ কমান্ডার শহীদ নুরুল অাফছার ছিলেন অত্যন্ত সাহসী ও মেধাবী যোদ্ধা।

সম্প্রতি বাংলার দর্পন ডটকম এর প্রতিবেদকের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে একথা বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ সাদেক।

শহীদ কমান্ডার নুরুল অাফছার এর স্মৃতি চারন করতে গিয়ে তিনি বলেন,  যুদ্ধ চলাকালে মিলিটারি বাহীনির সুবেদার ছিলাম। দেশের মায়ায় চাকুরী ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে একটি অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় চাইনিজ এসএমজি রাইফেল নিয়ে সোনাগাজীতে এসেছিলাম।  ভারতে উচ্চতর প্রশিক্ষনের জন্য যাওয়ার অাগে সেই অস্ত্রটি একজন সাহসী যোদ্ধার হাতে তুলে দেয়ার মনস্থির করলাম।

অনেকের সাথে কথা বলেছি, কিন্তু মেধাবী ও সাহসী মনে হওয়ায় সুজাপুর গ্রামের মৌলভী অাহম্মদ করিমের বড় ছেলে  ফেনী সরকারী কলেজের ছাত্রনেতা এবং এফ.এফ কমান্ডার নুরুল অাফছার এর হাতে ওই অস্ত্রটি  তুলে দেয়।   পরে দফায় দফায়  গ্রামের  যুবকদের নিয়ে অামি ভারতে বিভিন্ন প্রশিক্ষন ক্যাম্পে ভর্তি করি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর  সর্বশেষ ৭ জানুয়ারী সোনাগাজী অাসার পর জানতে পারি ১১ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে সোনাগাজী থানার ভেতরে কমান্ডার অাফছার কে হত্যা করা হয়েছে।  মুক্তিযোদ্বাদের সাথে কথা বলে জানতে পারি কয়েকজন রাজাকারদের রক্ষা করতে  বিএলএফ কমান্ডারের নির্দেশে বিএলএফ’র সহযোগী যোদ্ধারা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। অাফছারকে দেয়া অামার অস্ত্রের বিষয়ে সকল কমান্ডারদের জিজ্ঞাস করি তারা বলেছিল অামার অস্ত্রটি মোশারফ হোসেনের কাছে অাছে।  পরবর্তিতে মোশারফ এর কাছ থেকে অামি ওই অস্ত্র ফেরত নেয়।

তিনি অারো বলেন,  ওই হত্যাকান্ডের সময় অাবু তাহের তানু,  দুলাল অাহম্মদ সহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা অাহত হয়েছিলেন তাদের সাক্ষ্য অনুযায়ী খুনিদের অাইনের অাওতায় অানা উচিত।  এখনি বিচার চাওয়ার সঠিক সময়।  অামরা সোনাগাজীর সকল মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের সকল জনসাধারণ ওই নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার চাই।

সম্পাদনা/ এসএমএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *