আত্মকেন্দ্রিক নয় দেশের উন্নয়নে কাজ করছি – এইচ.এম ইব্রাহীম

 

বাংলার দর্পন টডটকম >>এইচ.এম ইব্রাহীম নোয়াখালী- ০১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের বর্তমান সফল সাংসদ। যিনি একাধারে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবেও বেশ পরিচিত। 

 

এইচ.এম ইব্রাহীম তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্বদানের মাধ্যমে চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলার তৃনমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে গড়ে তুলেছেন সম্প্রীতির এক অপার সেতুবন্ধন। সম্প্রীতি ও সাংগঠনিক দক্ষতাগুণে তিনি নির্বাচিত আসনের আওয়ামীলীগকে করেছেন সুসংগঠিত।

 

তার দৃঢ়তা নেতৃত্বাধীন সাংগঠনিক দায়িত্বপালনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীসহ ছোট-বড় সকলেই।

 

এদিকে নোয়াখালী- ০১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনে যতগুলো উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে তার হিংসভাগই বর্তমান সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি সেবা ও ব্যক্তিগতভাবে সম্পন্ন হয়েছে এইচ.এম ইব্রাহীমের হাত ধরে । বিশেষ করে রাস্তাঘাট, ব্রিজ,কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, মাদ্রাসা,এতিমখানা, চাটখিল-সোনাইমুড়ীর প্রত্যেকটি মসজিদে টিআর/কাবিখার মাধ্যমে সৌর বিদ্যূৎতায়ন,শতভাগ বিদ্যূৎ সরবরাহ সহ সামাজিক উন্নয়নের সার্বিক কর্মকান্ড এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য।

এদিকে চাটখিল উপজেলার চাটখিল পাঁচগাও মাহবুব সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বহু প্রতিক্ষিত অনার্স কোর্স চালু করে সকলের মোনিকৌঠায় ঠাই করে নেন এই সাংসদ,সাম্প্রতি শিক্ষাক্ষেত্রে এটিও তার আরেকটা বড় সাফল্য।

 

এছাড়া চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলায় মাদকাসক্তি থেকে যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায় তাদের সুযোগদান ও পূর্ণবাসন এবং মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য রেড এলার্ট জারি করেন তিনি। বর্তমানে চাটখিল-সোনাইমুড়ীতে মাদক নিয়ন্ত্রনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তিনি।

 

নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন,শিশু শ্রমিক, ইভটেজিং সহ যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনারোধে তিনি যথার্থ ভূমিকা পালন করছেন।

এদিকে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, বিশেষ করে নারীদের সাথে অপ্রীতিকর যেকোন ঘটনা এড়াতে এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিরোধে চাটখিল -সোনাইমুড়ী’র প্রত্যেকটি বাজারে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে তিনি বেশ প্রশংসা অর্জন করেন ।

 

চাটখিল- সোনাইমুড়ী’র বর্তমান সাংসদ এইচ.এম ইব্রাহীমের নির্বাচিত এলাকায় জনগণের ভালোবাসার এই বিশাল অর্জন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি জানান, আত্মকেন্দ্রিক নয়, কেবল দেশ ও দশের উন্নয়নে কাজ করছি, আশা করছি আগামী নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে নৌকায় উঠবো।

 

আমি আমার নির্বাচিত এলাকার মানুষগুলোর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই,কারন আমি রাজনীতিতে জনসেবার যে মনভাব নিয়ে এসেছি,জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছেন এবং আমার এলাকার জনগণ আমার পাশে থেকে আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন এবং তারা আমার পাশে আছেন এতে আমি বেশ আনন্দিত।

তবে, নেতা-কর্মীদের প্রতি আমার মেসেজ থাকবে, নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে,নৌকার জন্য সবাইকে নিরলস ভাবে এক হয়ে কাজ করে যেতে হবে। শেখ হাসিনার নির্দেশ কোন গ্রুপিং চলবে না। সবাইকে নৌকার জয়ের জন্য কাজ করতে হবে।

বিশ্বনন্দিত জননেত্রী শেখ হাসিনার সেবা জনগণের কাছে পৌছাতে আমিও নিরলসভাবে কাজ করে যাবো…(ইনশাল্লাহ্)

 

এইচ.এম ইব্রাহীম একজন নেতৃত্বগুণ সম্পন্ন দক্ষ নেতা যিনি চাটখিল-সোনাইমুড়ী জুড়ে যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের চরম গ্রুপিং যখন কঠোর থেকে কঠোরতম অবস্থায় তখন তিনি নিজের কাছের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে দমিয়ে রেখে কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে কাউকে সংঘাত করতে দেননি।

 

চাটখিল-সোনাইমুড়ীতে এই সাংসদের জনপ্রিয়তা দুরতিক্রমনীয়, তিনি সর্বদা উন্নয়নমূখী।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অত্যন্ত সাদামাটা ও সাবলিল জীবন-যাপন করেন,এছাড়াও এই সাংসদের অন্যতমগুণ হলো তিনি পারিবারিক ও সামাজিক উৎসবগুলো সহ যেকোন আয়োজন নির্বাচিত এলাকার জনগণকে সাথে নিয়ে পালন করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

শুধু তাই নয়, সংখ্যালঘুদের প্রতিও তিনি সমানভাবে গুরুত্ববহন করেন। এর মাধ্যমে জনগণের মাঝে গড়ে তুলেছেন সম্প্রীতির সেতু।

 

এছাড়াও,অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোন ঘটনায় অসহায় পরিবারের পাশে দাড়িও ইতিমধ্যে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।

 

বিএনপি- জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির ঘাটি হিসেবেও বেশ পরিচিত ছিলো। আওয়ামীলীগের এমন দূর্দিনে অসহায় নেতা-কর্মীদের পাশে দাড়ানো, দলের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে রাজপথে যে ক’জন সহপরিবারে নিরলসভাবে কাজ করেছে তাদের মধ্যে অন্যতম এইচ.এম ইব্রাহীমের পরিবার।

এজন্যই এই প্রিয়নেতাকে সাংসদ হিসেবে পেয়েও বেশ আনন্দিত স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা।

 

সব মিলিয়ে এইচ.এম ইব্রাহীম সাংসদ হওয়ার পূর্বে ও পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ায় প্রত্যয়ে জননন্দিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নমূখী সেবা পৌছিয়ে দিয়ে জনগণের হৃদয়ে যথাযথ ঠাই করে নিয়েছেন।

তিনি আবারও বিশ্বনন্দিত দেশনেত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে নৌকার টিকিট নিয়ে আসবেন, সেই সাথে দলে ও দলের বাহিরে সাধারণ মানুষের কাছে তার এই জনপ্রিয়তা ধরে রাখবেন এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *