গত তিন ঘন্টায় ভোট ডাকাতির মহোৎসব চলেছে – ডা.শাহাদাত

চট্টগ্রাম ব্যুরো :
যত বাধাই আসুক নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন।
আজ ২৭ জানুয়ারি, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চকবাজার বিএড কলেজ ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন চসিক নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন।

ভোটদান শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে যত ভয়-ভীতি, অত্যাচার নির্যাতনই করুন না কেন, শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকব।আমি মাঠ পর্যায়ের ছাত্র রাজনীতি থেকে এ পর্যন্ত এসেছি। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা নির্বাচনে নেমেছি। অধিক আগ্রহ নিয়ে ভোটকেন্দ্রে এসেও লোকজনকে ভোটদানে বাধা দেয়া হচ্ছে। আমার নির্বাচনী এজেন্টদেরও কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। আ.লীগের লোকজন নারী এজেন্টদের র্স্পশকাতর জায়গায় পর্যন্ত হাত দিয়ে লাঞ্ছিত করেছে।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি ১০ জনের চেয়ে বেশি এজেন্টের কাছে অভিযোগ পেয়েছি, এজেন্ট ও ভোটারদের বের করে দিয়ে আ.লীগের লোকজন নিজের ইচ্ছামতো ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। আড়াই ঘন্টায় এই কেন্দ্রে ৩৩৬টি ভোটই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে পড়েছে। মাত্র ৯ট পড়েছে ধানের শীষে।

গত তিন ঘন্টায় ভোট ডাকাতির মহোৎসব চলেছে বলে জানিয়ে ডা.শাহাদাত বলেন, রাতে নগরীর আন্দরকিল্লাহর বিভিন্ন প্রেস দোকানে মেয়র রেজাউলকে অভিন্দন জানিয়ে ব্যানার ও পোষ্টার ছাপানো হয়ে গেছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, আওয়ামী লীগ ভোটের আগে নীল নকশা তৈরি করে সাজানো নির্বাচন আয়োজন করেছে। তারা বিগত দুই জাতীয় নির্বাচনেও এরকম নীল নকশা তৈরি করে অবৈধ ভাবে সরকার গঠন করে জনগনের ভোটাধিকার হরণ করেছে। এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ব্যতিক্রম নয়।

তিনি বলেন, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের এ ভোট যুদ্ধ। কিন্তু নির্বাচনের আগমূহুর্তে বহিরাগত সন্ত্রাসী, মাস্তান ও দলীয় ক্যাডার দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে নেয়া হয়েছে। প্রশাসনের অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তারা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য দলীয় নেতাকর্মী এবং আমাদের এজেন্টদের গ্রেফতার করে হামলা মামলা অব্যাহত রেখে ভোট ডাকাতির চেষ্টা করছে।

চসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির ৫৬ জন এজেন্ট এবং দুই শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করে মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচনের এক দিন আগে ৫৬ জন নির্বাচনী এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যেহেতু এজেন্টরা নির্বাচনের একটি অংশ। তাই নির্বাচনী এজেন্টদের ছাড়িয়ে আনতে কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছি।

এছাড়াও চকবাজার ও বাকলিয়া থানায় আমি হাজির হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছেড়ে আনতে গেছি। কিন্তু তারা নানা অজুহাত দিয়ে তাদেরকে আটকে রেখেছে। আমি সিএমপি কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু তারপরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি সিএমপি।
আরো পড়ুন >>>

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে নিজাম মুন্না নামে এক যুবক ছুরিকাঘাতে নিহত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *