মোশারফ হোসেন, রামগড় :
ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চুক্তির বাস্তবায়িত- অবাস্তবায়িত ধারা, অর্জন, উন্নয়ন ও বর্তমানে ৪ টি আঞ্চলিক সংগঠনের কারনে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন রামগড় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের।
বুধবার সন্ধ্যায় তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্যে উল্যেখ করে ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ ইং বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন যথানিয়মে অনুসরণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। শান্তিচুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮ টি দ্বারা সম্পূর্ণ ১৫টি আংশিক ইতিমধ্যে সরকার বাস্তবায়ন করেছে বাকি ৯টি ধারা বর্তমানে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন আছে।
চুক্তির বাকি ধারাগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে জনগন এর সুফল ভোগ করবে। শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি আনয়নের পাশাপাশি অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পার্বত্য জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা অনুযায়ী খাগড়াছড়ির সংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় খাগড়াছড়ি জেলায় ব্যপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।। বিদুৎ, টেলিযোগাযোগ, মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক, পর্যটন স্পর্ট এর উন্নয়ন ও রাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
উদ্বেগজনক বিষয় শান্তিচুক্তি সম্পাদনের সময় আঞ্চলিক সংগঠন ছিলো একটি জেএসএস যার সাথে চুক্তি হয়। বর্তমানে চারটি আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস(সন্তু), ইউপিডিএফ (প্রসিত), জেএসএস (লারমা) এবং ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ব্যাপক চাঁদাবাজিসহ অপহরণ ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
এতে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির সকল অর্জন বিনষ্ট হতে পারে,, কিন্তু আমরা তা হতে দেব না। আমরা পার্বত্যবাসি যে কোনো মূল্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনাম ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে শান্তি চুক্তির আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখব।
সংবাদ সম্মেলনে হেঁয়াকো বনানী কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক রহমান সহ উপস্থিত ছিলো সাংবাদিক শ্যামল রুদ্র, আবু বক্কর, বেলাল হোসেন,শুভাশীস দাস, নিজাম উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা ও মোশারফ হোসেন প্রমুখ।