কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতিতে আ’লীগ সমর্থিতদের জয়

 

ডেস্ক রিপোর্ট :

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টা বেলা ২টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহন চলে। দীর্ঘভোট গননা শেষে রাত ১১টার দিকে বেসরকারীভাবে ফলাফল ঘোষনা করা হয়।

এতে সভাপতি-সম্পাদকসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ প্যানেল বিজয়ী হয়েছে।

অপরদিকে দুইজন সহ-সভাপতিসহ বিএনপি-জামায়াত সমর্থিতরা ৭ পদে বিজয়ী হয়েছেন। তবে, সমান ভোট পাওয়ায় সদস্যপদে দুই প্যানেল থেকে দুইজনের ৬মাস করে দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

আওয়ামীলীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ প্যানেল থেকে সভাপতি পদে ২৮৯ পেয়ে মোঃ নুরুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নুরুল মোর্শেদ আমিন পেছেন ২৬৬ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৫১ ভোট পেয়ে ইকবালুর রশিদ আমিন (সোহেল) বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোহাম্মদ আবদুল মন্নান-২২৪ ভোট পেয়েছেন।

সহ-সাধারণ সম্পাদক (হিসাব) পদে ৩২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ ইসহাক শাহরিয়ার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি একে ফিরোজ আহমদ ২৪৬ ভোট পেয়েছেন।

পাঠাগার সম্পাদক পদে মোঃ আবুল হোছন ৩২৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছরোয়ার আলম ২৪৫ ভোট পান।

আপ্যায়ন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে সর্বোচ্চ ৩৭৪ ভোট পেয়ে এবিএম মহিউদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম ২০৫ ভোট পান।

এ প্যানেল থেকে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ ইছহাক, আমজাদ হোসেন, রবিউল এহেছান ও লিপিকা পাল।

অপরদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে ছাদেক উল্লাহ ৩১৩ ভোট ও ফরিদ উদ্দিন ফারুকী ২৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ২৪৩ এবং মোহাম্মদ সেলিম নেওয়াজ ২৭৯ ভোট পেয়েছেন।

সহ-সাধারণ (সাধারণ) পদে ৩০৪ ভোট পেয়ে মোহাম্মদ ইউনুছ নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রাথী মোহাম্মদ নুরুল হক পেয়েছেন ২৬৭ ভোট।

এই প্যানেল থেকে আবুল কালাম ছিদ্দিকী, সব্বির আহমদ, নাজিম উদ্দিন, মোঃ তাওহীদুল আনোয়ার সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

১৭ পদের বিপরীতে দুই প্যানেলের হয়ে ৩৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন মোহাম্মদ জাকারিয়া। তিনি ১৮ ভোট পান। এবারের ভোটার সংখ্যা ৬৩২। ভোট কাস্ট হয় ৫৮৪টি। গতবারের ভোটার সংখ্যা ছিল ৬৫২। অনুপস্থিত ছিল ৪৮ ভোট।

উল্লেখ্য, সদস্য পদে সমান ভোট পাওয়ায় আবু মুছা মোহাম্মদ প্রথম ৬ মাস এবং ইমরুল কায়েস (মানিক) শেষের ৬ মাস দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে ছিলেন এম. শাহজাহান। সহকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন বাবু শ্যামল কান্তি চৌধুরী।

নির্বাচন কমিশনার ছিলেন- মোঃ বাকের, মোঃ রাশেদুল ইসলাম, মো. নুর-উল আলম, ফরিদ আহমদ ও সিরাজ উল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *