নিউজ ডেস্ক:-
তসলিমা নাসরিন: অনেকে মনে করে আমি পর্ন লিখি।পর্ন না হলেও সেমি পর্ন। কিন্তু আজ অবধি পর্ন, সেমি পর্ন তো নয়ই, কোয়ার্টার পর্নও লিখে উঠতে পারিনি। কিছুদিন আগে ইরোটিক গল্পের একটি সঙ্কলন বেরিয়েছে।
ওতে আমার একটি গল্প নেওয়ার জন্য সম্পাদক মাসের পর মাস অপেক্ষা করেছেন।শেষে সেক্সবয় নামের একটি গল্প দিলাম।সম্পাদক বললেন, এটি ইরোটিক গল্প নয়।এটি নিতান্তই প্রেমের গল্প।একটি ইরোটিক গল্প লিখে দিন।আমি বলে দিলাম, ওর চেয়ে বড় ইরোটিক জিনিস আমি লিখতে পারবো না।
সম্পাদক বললেন, আমার গল্প যেহেতু ইরোটিকের ধারে কাছে নয়, তাই গল্পটি সঙ্কলনে দিতে পারছেন না।জানিনা শেষ মুহূর্তে কী মনে করে আমার ওই না-ইরোটিক গল্পই নিলেন সঙ্কলনের জন্য।বইয়ের আর সব গল্পের চেয়ে আমার গল্পটিকেই বেশি প্রচার করলেন তিনি। পাঠক পড়লেন বটে আমার গল্প, তবে বুঝলেন এটি আর যাই হোক, ইরোটিক নয়।
এসব দেখে শুনে ইরোটিক গল্প লেখার ইচ্ছে হচ্ছে। এই বই ইরোটিক গল্প। চিরকাল তো এসব গল্প পুরুষ-গল্পকাররাই লিখলেন।লিখে বাহবা পেলেন। আমাদের তো ইরোটিক কোনও কিছু লেখা মানা। আমাদের জন্য এসব নিষিদ্ধ বিষয়। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো এবার উড়িয়ে দিতে হবে।