সিলেট :
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ি পাঠানপাড়াস্থ জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহল থেকে একের পর এক প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠলো দক্ষিণ সুরমা।
রোববার সকাল থেকেই বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। পরে বেলা ২টা ১৭ মিনিট এবং ২টা ৩১ মিনিটে ফের দুই দফায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
এর মধ্যে অন্তত চারটি বিস্ফোরণ খুবই শক্তিশালী ছিল। এদিকে, অভিযানের ব্যাপারে বিকেল ৫টার দিকে পাঠানপাড়া জামে মসজিদের কাছে ব্রিফিং করা হয়।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মনে করছেন, এগুলো শক্তিশালী গ্রেনেডের বিস্ফোরণ হতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট, সকাল ১০টা ৭ মিনিট, বেলা ১১টা ৪৩ মিনিট ও বেলা দুইটা ৪১ মিনিটে শক্তিশালী চারটি বোমার বিস্ফোরণ হয় আতিয়া মহল ও আশপাশে।
এর মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ বিস্ফোরণটি ছিল খুবই শক্তিশালী। বিস্ফোরণের পর গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। বিকেল ৩টা ১৫ মিনিট থেকে অনেকগুলো গুলির শব্দ শোনা যায় বলে জানায় পুলিশ।
সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডোরা এখন আতিয়া মহলে জঙ্গিদের ফ্ল্যাটে অভিযানে রয়েছেন। অভিযানের নেতৃত্বে আছেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেন।
গতকাল শনিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশীদ চত্বর, সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়ক, পাড়াইরচক থেকে পীর হবিবুর রহমান চত্বর পর্যন্ত সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও দলবদ্ধভাবে চলাফেরা না করার আদেশ জারি করা হয়েছে।
এদিকে, সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় জঙ্গি আস্তানা ঘিরে সেনাবাহিনীর অভিযান তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। সকাল থেকেই ওই এলাকায় থেমে থেমে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।
অভিযানের মধ্যেই শনিবার রাতে জোড়া বিস্ফোরণে পুলিশসহ ছয়জন নিহত হওয়ার পর শিববাড়ি থেকে নগরীর কদমতলী পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী।
শিববাড়ির পাঠানপাড়া এলাকায় পাঁচতলা ওই বাড়ি ঘিরে এ অভিযান শুরু হয় বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে। শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোদের ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ শুরুর পর ওই বাড়ির বিভিন্ন তলা থেকে ৭৮ জনকে উদ্ধার করা হয়।