মো:আরিফুল হক
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ধলই চা–বাগানের বিতর্কিত ব্যবস্থাপককে প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত হলেও সোমবার রাতে তিনি বাগানে প্রবেশ করেন। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনভর সহস্রাধিক শ্রমিক চা–বাগান কারখানা ও হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
সোমবার বিকেলে মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাংসদ এম এ শহীদ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বেআইনিভাবে গত ২৭ জুলাই সন্ধ্যায় দেওয়া ঘোষণাপত্র প্রত্যাহার করে বুধবার থেকে ধলই চা–বাগান খুলে দেওয়া হবে। চা–শ্রমিকদের দাবির মুখে বিতর্কিত ব্যবস্থাপককে অপসারণ করে প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয় সভায়।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাম ভজন কৈরী বলেন, সোমবার বিকেলে সাংসদ এম এ শহীদের উদ্যোগে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চা–বাগান কর্তৃপক্ষের ঘোষণাপত্রটি বেআইনি প্রমাণিত হওয়ায় তা প্রত্যাহার করে শিগগিরই চা–বাগান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি চা–শ্রমিকদের মজুরি ও বিতর্কিত ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলামের বিষয়টি পরে আলোচনাক্রমে সমাধান হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া আপাতত ব্যবস্থাপক ধলই চা–বাগানের বাইরে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। এসব সিদ্ধান্ত ধলই চা–বাগান কর্তৃপক্ষ ও চা–শ্রমিকেরা মেনে নেন। কিন্তু সোমবার রাতের আঁধারে কোম্পানি আমিনুল ইসলামকে চাতুরীপনা করে ধলই চা-বাগানে অনুপ্রবেশ করায়। মঙ্গলবার সকালে ২৭ জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রটি প্রত্যাহার করে বুধবার থেকে চা–বাগান খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ধলই চা–বাগানের বিতর্কিত ব্যবস্থাপককে প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত হলেও সোমবার রাতে তিনি বাগানে প্রবেশ করেন। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনভর সহস্রাধিক শ্রমিক চা–বাগান কারখানা ও হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
সোমবার বিকেলে মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাংসদ এম এ শহীদ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বেআইনিভাবে গত ২৭ জুলাই সন্ধ্যায় দেওয়া ঘোষণাপত্র প্রত্যাহার করে বুধবার থেকে ধলই চা–বাগান খুলে দেওয়া হবে। চা–শ্রমিকদের দাবির মুখে বিতর্কিত ব্যবস্থাপককে অপসারণ করে প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয় সভায়।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাম ভজন কৈরী বলেন, সোমবার বিকেলে সাংসদ এম এ শহীদের উদ্যোগে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চা–বাগান কর্তৃপক্ষের ঘোষণাপত্রটি বেআইনি প্রমাণিত হওয়ায় তা প্রত্যাহার করে শিগগিরই চা–বাগান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি চা–শ্রমিকদের মজুরি ও বিতর্কিত ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলামের বিষয়টি পরে আলোচনাক্রমে সমাধান হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া আপাতত ব্যবস্থাপক ধলই চা–বাগানের বাইরে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। এসব সিদ্ধান্ত ধলই চা–বাগান কর্তৃপক্ষ ও চা–শ্রমিকেরা মেনে নেন। কিন্তু সোমবার রাতের আঁধারে কোম্পানি আমিনুল ইসলামকে চাতুরীপনা করে ধলই চা-বাগানে অনুপ্রবেশ করায়। মঙ্গলবার সকালে ২৭ জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রটি প্রত্যাহার করে বুধবার থেকে চা–বাগান খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়।
রাম ভজন কৈরী বলেন, এখন পর্যন্ত ধলই চা–বাগান কর্তৃপক্ষ নিজেরাই দোষী প্রমাণিত হয়েছে। বিতর্কিত ব্যবস্থাপককে চা–বাগানে প্রবেশ করিয়ে চা–শ্রমিকদের উত্তেজিত করে নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি করে শ্রমিকদেরই দায়ী করার পাঁয়তারা করছে চা–বাগান কোম্পানি। তিনি আরও বলেন, চা–শ্রমিকেরা যেভাবে উত্তেজিত হচ্ছেন, তাতে যেকোনো সময়ে ধলই চা–বাগানে বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
ধলই চা–বাগান কোম্পানির এজিএম খালেদ খান মুঠোফোনে মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে চা–বাগান খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তাই বুধবার থেকে চা–বাগান খোলার নোটিশ দেওয়া হয়। আর ব্যবস্থাপকের বাসস্থান ধলই চা–বাগানে। তাই তিনি এখন থেকে প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন। এর চেয়ে বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশেকুল হক বলেন, সোমবার বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার থেকে ধলই চা–বাগান খুলবে। এ বাগানে রাতের আঁধারে ব্যবস্থাপকের প্রবেশের বিষয়টি তিনি চা–শ্রমিকদের কাছ থেকে শুনেছেন। এর প্রতিবাদে ধলই চা–বাগানে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবস্থাপকের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান ইউএনও।