মহেশখালীতে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা | বাংলারদর্পণ

প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারের মহেশখালীর বহুল আলোচিত আবদুস সাত্তার হত্যার ঘটনায় ওই থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে মহেশখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন ভিকটিম আবদুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা আক্তার (৪০)।

মামলায় ওসি প্রদীপ ছাড়া পুলিশের আরো পাঁচ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন-এসআই হারুনুর রশীদ, এসআই ইমাম হোসেন, এএসআই মনিরুল ইসলাম, এএসআই শাহেদুল ইসলাম ও এএসআই আজিম উদ্দিন।

২৯ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি হিসেবে রয়েছেন ফেরদৌস বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস (৫৬)। তিনি একই এলাকার মৃত নুরুল কবিরের ছেলে।

ভিকটিম আবদুস সাত্তার হোয়ানক পূর্ব মাঝেরপাড়ার মৃত মৃত নুরুচ্ছফার ছেলে।

মামলার বাদী হামিদা আক্তার জানান, ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টার দিকে ফেরদৌস বাহিনীর সহায়তায় হোয়ানকের লম্বাশিয়া এলাকায় তার স্বামী আবদুস সাত্তারকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় থানায় মামলা নেয়নি। অবশেষে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি। রিট পিটিশন নং-৭৭৯৩/১৭ মূলে ‘ট্রিট ফর এফায়ার’ হিসেবে গণ্য করতে আদেশ দেন বিচারক।

আদালত সূত্র জানায়, হামিদা বেগমের করা রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ৭ জুন আদেশ দেন। এতে বলা হয়, হামিদা বেগম এজাহার দাখিল করলে মহেশখালী থানার ওসিকে তা তাৎক্ষণিক গ্রহণ করতে হবে। এই আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

অন্যদিকে, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র সচিবের (জননিরাপত্তা বিভাগ) পক্ষে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ১৩ মে আপিল বিভাগ আদেশ দেন।

এতে রুল ইস্যু না করে এজাহার গ্রহণ করতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বাতিল করা হয়। একইসঙ্গে ওই রিটটি মোশন (নতুন মামলা) হিসেবে নতুন করে শুনানি করতে বলা হয়।

ওই সময় হাইকোর্টের রিট পিটিশনকারী অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক খোকন জানান, উচ্চ আদালত থানায় মামলাটি করার নির্দেশ দেন। কিন্তু পুলিশের আইজিপির পক্ষ থেকে আদেশের স্থগিতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তা স্থগিত করেন উচ্চ আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *