প্রদীপের কর্মকান্ডের ব্যপারে ডিআইজিকে আগেই অবহিত করেছিলেন ওসি হুমায়ুন

প্রতিবেদক >>>
কক্সবাজার জেলার গোয়েন্দা শাখার ওসি হিসেবে কর্মরত থাকাকালে পরিদর্শক হুমায়ুন কবির’ কক্সবাজারের এসপি মাসুদ হোসেন ও টেকনাফের ওসি প্রদীপ দাস সম্পর্কে ১৬ মাস আগে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজিকে ক্ষুদে বার্তায় জানিয়েছিলেন।

জানাযায়,২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল উক্ত বার্তা পাঠিয়েছিলেন। ক্ষুদে বার্তাটি হলো।

স্যার,
আসসালামু আলাইকুম ও স্যালূট স্যার। আপনার সামনে দাঁড়িয়ে এতকিছু বলার সুযোগ জীবনে আমার নাও আসতে পারে। তাই ছোট্ট করে লিখে বলছি..

স্যার, আপনি আমাকে কক্সবাজারে পোষ্টিং করেছেন কিভাবে, কেন, তা জানেন শুধু আপনি, আমি আর জানেন মহান স্রষ্টা আল্লাহ। কিন্তু এ তিনকেও মিথ্যা বানিয়ে ছেড়েছে কক্সবাজারে মূল- শেকড় গাড়া কিছু পুলিশ অফিসার। যারা উজ্জ্বল সত্যকে বানাচ্ছে ডাহা মিথ্যে, আর কুৎসিত কালো মিথ্যাকে বানাচ্ছে দিবানিশি উজ্জ্বল সত্যতে।

স্যার, আমার এ জেলায় প্রায় ৫ মাসের অভিজ্ঞতায় যা দেখেছি এ জেলার এসপি স্যার একজন ভাল অফিসার তাতে কোন সন্দেহ নেই। তার সরলতার সুযোগটাই নিয়েছেন কিছু অসৎ পুলিশ অফিসার।

স্যার যে সন্ধ্যায় আপনি আমাকে পোষ্টিং করেছেন, সে সন্ধ্যার পরই প্রদীপসহ ঐসব ৩/৪ জন অফিসার এসপি স্যারের কান ভারী করতে পেরেছিলেন এই বলে– “যে অফিসার(আমি) টেকনাফে আসছে, সে দেড় কোটি টাকা দিয়ে আসছে। সে সরাসরি মাননীয় ডিআইজি স্যারের লোক ইত্যাদি বলে। ঠিক তখনই এসপি স্যার ঘুরে বসেছেন। ঘুরে তো বসবেনই। কারন এত টাকা দিয়ে টেকনাফে এসে ইয়াবা নির্মূলের কাজটা করবে কিভাবে?

তখন এসপি স্যার নিজেও প্রদীপকে টেকনাফে দেয়ার বিষয়ে ঢাকায় অনেকের সাথে যোগাযোগ করেন। সফল হন। পরদিন আমি কক্সবাজারে আসার আগে অর্থাৎ ঐ রাতেই প্রদীপ টেকনাফে যোগদান করেন। প্রদীপের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয় ঐ দুষ্টরা যারা প্রদীপকে তার কাঙ্খিত চেয়ারটি উপহার দিতে পেরেছিলেন – যারা এসপি স্যারকে ঘুরানোর কাজটি করেছিলেন।

প্রদীপের শূণ্যস্থান মহেষখালীতে যেতে না পারার কাজটিও ঐ চক্রটিই ভূমিকা রেখেছিল। প্রদীপসহ তারা ঐ এলাকার এমপিকে বুঝাতে পেরেছিলেন যে, “আমরা ঐ অফিসার কে চিনি। সে বিএনপি করে। সামনে সংসদ নির্বাচন। তাকে না দেয়ার জন্য আপনি মাননীয় ডিআইজি স্যারকে অনুরোধ করবেন”। ঠিক তা-ই হয়েছে।

স্যার, কি হচ্ছে এখন টেকনাফে? যা হওয়ার তা-ই হচ্ছে। এসপি স্যার কি কিছুই জানেন না? হয়ত জানেন কিন্তু কিছুই করতে পারবেন না চক্রটির কারনে।

তবে স্যার, দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছা ও আপনার দেশপ্রেমের কথা আমি সারা জীবন মনে রাখবো। আপনার বলিষ্ঠ ভূমিকা। সৃজনশীল চিন্তা চেতনায় আমি মুগ্ধ। আল্লাহ সবসময় আপনার সহায় থাকবেন ইনশাল্লাহ।
স্যার, ভূল হলে আমায় ক্ষমা করবেন।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *