টেকনাফে সাংবাদিক মোস্তাফার চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে নির্যাতন করেছিল ওসি প্রদীপ কুমার

খায়রুল আলম রফিক :
সাংবাদিককে নির্যাতন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে। দুর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের জেরে ‘কক্সবাজার বাণী’ পত্রিকার সম্পাদককে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসের বিরুদ্ধে ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে , ওই সাংবাদিকের পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস । কোনো পরোয়ানা ছাড়াই ঢাকার পল্লবী থেকে তাকে ধরে নিয়ে টেকনাফ থানায় তিন দিন আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। পরে মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয় সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানকে।

২০১৯ সনে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফরিদুল মোস্তফার স্ত্রী হাসিনা আক্তার লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ জানান।

তিনি জানান, ‘তার স্বামী বিভিন্ন সময় টেকনাফ থানার ওসিসহ পুলিশ সদস্যদের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করেছেন।

এ কারণে তাকে ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর এলাকার বাসা থেকে ধরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তার চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে নির্যাতন করায় বর্তমানে দুটি চোখই নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

এ ছাড়া তার হাত-পা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার এক চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে’।

ফরিদুল মোস্তফার মেয়ে সুমাইয়া মোস্তফা খান বলেন, ‘তাদের পরিবারের কেউ কোনো মামলার আসামি নয়। কখনো তারা কোনো অনিয়মে জড়াননি। এরপরও পুলিশ ঠান্ডা মাথায় তারা বাবাকে মামলা দিয়ে সমাজে তাদের পরিবারটিকে হেয় করেছে’।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস তখন বলেন, ‘সঠিক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ফরিদুল মোস্তফার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। তাকে কোনো হয়রানি বা মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়নি।

তিনি যদি মনে করে থাকেন মিথ্যা মামলা হয়েছে তাহলে আদালতে যেতে পারেন।
বাংলারদর্পন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *