ফেনী প্রতিনিধি :
পরশুরামে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বেনামে চিঠি দেয়া, ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার, কথায় কথায় জেলা প্রশাসকের নামে লোকজনকে হুমকী, খারিজ করে দেয়ার কথা বলে লোকজনের কাছ হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া,লোকজনকে মারধর, গালিগালাজ করা ভুয়া দুদুকের কর্মকর্তা সেঝেঁ লোকজনকে ভয়ভীতি দেখানো সহ বহু অপকর্মের হোতা পরশুরাম ভুমি অফিসের কর্মচারী এমএলএসএস মো সাফায়েত উল্যাহ মজুমদার প্রকাশ লাভলুকে বৃহস্পতিবার স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়েছে।
স্থানীয় লোকজন বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সন্ধায় সাফায়েত কে পরশুরাম বাজারে গণধোলাই দিয়ে পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেলের কাছে সোপর্দ করেন।
পৌর মেয়র সাজেল চৌধুরী মাদকাসক্ত সাফায়েতকে পরশুরাম থানার পুলিশের এস আই জালালের কাছে হস্তান্তর করলে সাফায়েত ভবিষ্যতে করবেনা বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ যাত্রায় রেহাই পায়।
জানা যায় সাফায়েত দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলা ইউএনও অফিসের কর্মচারী সমিতিরি সভাপতি সফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনির আহাম্মদ, উপজেলা ভুমি অফিসের কর্মচারী আলমগীর হোসেন, ভুমি অফিসের সাবেক স্টাফ মিহির, আশিষ, ভুমি কর্মকর্তা নজরুল, সর্বশেষ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) নু এবং মারমা মং এবং উপজেলায় কর্মরত একাধিক সাংবাদিক এর বিরুদ্ধে বেনামে চিঠি দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছিল।
এর আগে প্রাণ নাশের হুমকী ও বেনামে চিঠি দিয়ে অহেতুক হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পেতে পরশুরাম উপজেলায় কর্মরত ৩য় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার চট্রগ্রাম, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে পরশুরাম উপজেলার ৪৮ জন ৩য় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা স্বাক্ষর করেছেন।
এছাড়াও পিয়ন সাফায়েতের বিরুদ্ধে খাস জমি বন্দোবস্তের প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ দাবীর অভিযোগে পরশুরাম উপজেলাধীন দক্ষিণ চন্দনা গ্রামের মীর কাসেমের স্ত্রী আলেয়া বেগম লিখিত অভিযোগ করেছেন।
কর্মচারী এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক তাকে রাজস্ব শাখা থেকে বদলী করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জেনারেল শাখায় কর্মরত ছিল। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থাকাকালীন সময়েও তিনি অসংখ্য লোকজনের বিরুদ্ধে বেনামে চিঠি দিয়ে হয়রানী করেছে।
গত ২ জুলাই জেলা প্রশাসকের আদেশে সাফায়েত উল্যাহকে সোনাগাজী বক্তার মুন্সি ইউনিয়ন ভুমি অফিসে বদলী করা হলেও তিনি বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে এখনো যোগদান করেনি।
এছাড়াও সাফায়েতের বিরুদ্ধে পরশুরাম সরকারী কোয়াাটারের বসবাসরত স্টাফ সরকারী প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক বাদশার স্ত্রীকে মারধর করায় পরশুরাম এর ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যান এর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
যা তদন্ত চলছে। এছাড়াও তার চাচী রহিমা আক্তারকে হামলা ও মারধরের অভিযোগে বাড়ীর প্রবেশ পথ দখল করার অভিযোগে পরশুরাম থানায় একটি মামলা দাায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার গনধোলাই খেয়ে সাফায়েত উল্যাহ বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তার বক্তব্য জানতে একাধিক সোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও পাওযা যায়নি।
বাংলারদর্পন