রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি:
ঝালকাঠিতে চাঁদাবাজি,ধর্ষন, সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ বহু মামলার আসামি আরিফ খলিফার আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। ঝালকাঠি লঞ্চঘাটে সন্ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম করেছে এই আরিফ। ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল ৬:৩০ মি দিকে লঞ্চঘাট এলাকায় আরিফ বাহিনীর সন্ত্রাসী তান্ডবে আহত হয়েছেন স্থানীয় ৬ জন যুবক।
অভিযোগে জানাগেছে, ঝালকাঠি পৌরসভার লঞ্চঘাট এলাকার ভেরিবাঁধে ব্যবসায়ী মন্টু হাওলাদারের সাথে পুর্বের শত্রুতার জের ও এক দম্পত্তির শালিসিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধায় সন্ত্রাসী আরিফ খলিফা তার বাহীনি নিয়ে দেশীয় ধারালো দা, লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালায় ব্যবসায়ী মন্টু হাওলাদারের উপর, এতে মন্টুসহ ছাত্রলীগের নেতা সোহেল হাওলাদার, ব্যাবসায়ী শাওন,যুব রাজ, তাওহিদ, জুবায়েরসহ ৬ জন গুরুতর জখম হয় বলে আহতরা জানান।
আহত ব্যবসায়ী মন্টু হাওলাদার জানান, তাকে মারধর করে তার ক্যাশ থেকে নগদ টাকা ও মালামল লুটপাট করে নিয়ে যায় আরিফ ও তার লোকজন। আহতদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
অপরদিকে আরিফ খলিফা ও তার ভাই আমিন এ ঘটনায় আহত হয় তারা বরিশালে চিকিৎসাধিন আছে বলে জানান আরিফের পিতা যুবলীগ নেতা আ: হক খলিফা।
অভিযোগ রয়েছে আরিফ খলিফা ডিসি অফিসের পিওন পদে চাকুরী করে তার কর্মকস্থল কাঠালিয়া উপজেলার একটি তহসিল অফিসে কিন্তু সে কর্মস্থলে না গিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মটর সাইকেল হাকিয়ে এলাকায় ধর্ষন, চাদাঁবাজিসহ সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে।
এ পর্যন্ত আরিফ খলিফার বিরুদ্ধে আলোচিত সুন্দরবন লঞ্চে এক তরুনীকে ধর্ষন ও চাদাঁবাজিসহ প্রায় হাফ ডজন মামলা ও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। এসকল মামলা ও অভিযোগ থেকে তার পিতা যুবলীগ নেতা আ: হক খলিফা ও দু-একজন আওয়ামী লীগের নেতার প্রভাবে রক্ষা পেয়ে পুণরায় সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত হয় বলে এলাকাবাসী জানায়।
“ঝালকাঠি সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মোঃ হাফিজ আল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, এই ঘটনায় জড়িত অন্যায়কারীকে কোন রকম ছাড় দেয়া হবে না। আইনের আওতায় এনে দুষ্টের দমন করা হবে।”