পরশুরামের অবহেলিত জনপদ মির্জাপুরের মহেশপুস্কুরণী | বাংলারদর্পন

ফেনী প্রতিনিধি :

পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম জয়ন্তীনগর-বীরচন্দ্র নগর-মহেষপুষ্কুরনী সড়কের প্রায় ১২’শ মানুষের একমাত্র চলার পথের দৃশ্য।

 

অাশার কথা হলো চলমান বৃষ্টি মৌসুম শেষ হলে এ সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী এস এম শাহ অালম ভূঁঞা ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টো।

 

তবে কাজ শুরু হওয়া নিয়ে গ্রামের মানুষের মনে এখনও রয়েছে উৎকণ্ঠা অার সংশয়। “চাচা জন্মের হরের তুন বহুত হুনছি রাস্তা পাঁকা কইরব, কিন্তু ছাও(দেখো) অনো খবর নাই কামের।যেদিন দেখবা রাস্তায় কোদাল হড়ছে হেদিন বিশ্বাস কইরো”-রাস্তা পাকাকরণের কথা শুনে এলাকার ষাটোর্ধ এক মুরব্বির মন্তব্য ছিল এটি।

 

এ গ্রামে যেকোন নির্বাচন অাসলে অটোমেটিক একটা স্লােগান চলে সবসময়।তা হল- “অমুক ভাইকে দিলে ভোট, কাঁচা রাস্তা পাকা রোড়”।অনেক নির্বাচন শেষ হয়েছে, জনপ্রতিনিধিরা চেয়ার ছেড়েছেন। তবে এ রাস্তা অার পাকা হয়নি, তা ঐ স্লােগানেই সীমাবদ্ধ।অামাদের এ দুর্দশার শেষ কোথায়? কথাগুলো বলেছিলেন এলাকার মাধ্যমিকে পড়ুয়া এক অনুজ।

 

মহেষপুষ্কুরনী- বীরচন্দ্র নগর গ্রামের সংযোগস্থলে একটি ব্রিজের কাজ শুরু করে বৃষ্টি অার করোনা সমস্যার দোহাই দিয়ে অাবার কাজ বন্ধ।কাজ শুরুর অাগে তৈরি করা হয়নি কোন বিকল্প রাস্তাও।গ্রামের লোকদের প্রচেষ্টায় কোনমতে চলার মত একটা পথ তৈরি করলেও বৃষ্টির পানিতে মানুষের দুর্ভোগ চরমে।

 

৩ গ্রামের মাধ্যমিক/ উচ্চমাধ্যমিকে পড়া শিক্ষার্থীদের কর্দমাক্ত হয়ে দীর্ঘ পথ হেটে সুবার বাজার/পরশুরাম গিয়ে পড়াশোনা করতে হয়।এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষার জন্য টিনসেডের জরাজীর্ণ মহেষপুষ্কুরনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ই তাদের একমাত্র ভরসা।

 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউছুপ কামাল জানান, ১৯৪২ সনে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি পুন:নির্মাণের জন্য গত কয়েকমাস অাগে টেন্ডার হওয়ার কথা শুনেছেন। তবে অজানা কারণে শিক্ষা অফিস থেকে পরবর্তীতে অফিসিয়ালি অার কোন কিছুই জানায়নি ১০ বছর যাবৎ অত্র বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করা এ শিক্ষক।

 

গ্রামবাসীর একটাই কথা, স্থানীয় নীতিনির্ধারক এবং সরকারের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ গ্রামের দুর্দশা অার হতাশার সমাপ্তি ঘটবে।

 

বাংলারদর্পন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *