লক্ষীপুরে  শিক্ষকদের ওপর হামলা প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন 

 

মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি :

নকল সরবরাহ করতে না দেয়ায় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের ৫ শিক্ষকদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার চেয়ে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্লাস বজর্ন করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় জুয়েল মিয়া ও নাজমুল ইসলাম তারেকের নাম উল্লেখ করে ১২জনকে অজ্ঞাত আসামী করে সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন হামলার শিকার শিক্ষক সুব্রত সাহা।

 

পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে গনিত বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নকল সরবরাহের জন্য শিক্ষার্থী জুয়েল মিয়া ও নাজমুল ইসলাম তারেকের নেতৃত্বে কয়েকজন বহিরাগত পলিটেকনিক ভবনের ৪র্থ তলায় হলে ডুকার চেষ্টা করে। এসময় পরীক্ষার হলে কর্তব্যরত শিক্ষক কম্পিউটার বিভাগের প্রধান সুব্রত সাহা তাদের বাধা দেয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি-ধুমকি দিয়ে চলে যায়। পরীক্ষা শেষে কম্পিউটার বিভাগের প্রধান সুব্রত সাহা, নোয়াব আলী সোহেল, মো.নাসির উদ্দিন, আবুল বশর ও তাপস চন্দ্র সাহা ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে অটোরিক্সাযোগে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন।

 

এসময় জুয়েল মিয়া ও নাজমুল ইসলাম তারেকের নেতৃত্বে ১০/১২জনের বহিরাগতরা তাদের গতিরোধ করে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর ও লাঞ্চিত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরে এ ঘটনায় সোমবার রাতে শিক্ষক সুব্রত সাহা বাদী হয়ে সদর থানায় ২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১২জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এ দিকে পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলার সাথে জড়িত রয়েছে বলে দাবী করেন একটি সুত্রে। তবে পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম শামীম হামলার সাথে ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীরা জড়িত নয় বলে দাবী করেন। বহিরাগতরা শিক্ষকদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে জানান তিনি।

 

এ দিকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ক্লাস বজর্ন করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলসহ নানান কর্মসুচি পালন করা হচ্ছে। হামলায় জড়িতদের অবিলম্ভে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবী জানান তারা। অন্যথায় আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসুচির হুমকি দেয় শিক্ষার্থীরা।

পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ( ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী আলাউদ্দিন হামলার কথা স্বীকার জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আবদুল্লাহ আল মামুন ভূইয়া জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার প্রস্তুুতি ও আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *