দিন দুপুরে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খুন | বাংলারদর্পন

বগুড়া প্রতিনিধি:
আবু হানিফ মিস্টার (২৮) নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের শাকপালা এলাকার একটি মসজিদের প্রবেশ মুখে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। আবু হানিফ মিস্টার মসজিদ সংলগ্ন ওজু খানায় ওজু করে মসজিদে প্রবেশের সময় ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়।

শাকপালা এলাকার আরমান আলীর ছেলে আবু হানিফ মিস্টার স্বেচ্ছাসেবক লীগ বগুড়া জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। খবর পেয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞাসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তবে ওই হত্যাকাণ্ডের মোটিভ সম্পর্কে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেনি। এমনকি স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দও এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছেন না। তবে দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, বগুড়া-নাটের মহাসড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পে বালু সরবরাহের কাজ নিয়ে একটি পক্ষের সঙ্গে আবু হানিফ মিস্টারের বিরোধ চলছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আবু হানিফ মিস্টার প্রতি শুক্রবার জুম’আর নামাজের অন্তত এক ঘণ্টা আগে বাড়ির পাশে শাকপালা মোড়ের মসজিদে গিয়ে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন। ৫ জুন শুক্রবারও তিনি বেলা ১১টার কিছু পর বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদের ওজুখানায় গিয়ে ওজু করেন। এরপর তিনি যখন মসজিদে ঢুকতে যাবেন তখনই একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।

শাকপালা এলাকাটি বগুড়া পৌরসভার অন্তর্ভূক্ত হলেও সেটি শাজাহানপুর থানার আওতাধীন। ওই থানার ওসি (তদন্ত) আমবার হোসেন জানান, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পৌনে ১২টার মধ্যে আবু হানিফ মিস্টারের ওপর হামলা চালানো হয়।

তিনি বলেন, তাকে কুড়াল দিয়ে কোপানো হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিকটবর্তী শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আবু হানিফ মিস্টারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ছিল।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি সাজেদুর রহমান সাহিন জানান, তারাও হত্যাকাণ্ডের কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।

তিনি বলেন, আবু হানিফ মিস্টারের সঙ্গে কারও কোন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল বলে আমাদের জানা নেই। তিনি ইতিপূর্বে বগুড়া পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেছিলেন। অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। আগামীতেও তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে বালু সরবরাহ নিয়ে বিরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে সাজেদুর রহমান সাহিন বলেন, ওই কাজগুলো তো আমাদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে কোন বিরোধ থাকার প্রশ্নই নেই। বাংলারদর্পন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *