মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী :
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৭ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত সুবর্ণচর উপজেলার ১ নং চরজব্বার ইউনিয়নের পশ্চিম চরজব্বার গ্রামের তাজুল হকের ছেলে ইব্রাহিম খলিল অভিযোগ করে বলেন, একই গ্রামের তার বাড়ীর সামনে অবস্থিত ১২ নং বায়তুল আমান জামে মসজিদের মালিকানাধিন ৮০ শতাংশ পুকুর তিনি লিজ নেন একং পুকুরে তেলাপিয়া, সিলর্ভার কার্প, ব্রিগেডসহ ৮ প্রকারের দেশি প্রজাতির মাছ চাষ করেন।
১৩ মে বুধবার রাত আনুমানিক ১টার সময় তারাবির নামাজ শেষে মাছের খাবার দিতে গিয়ে দেখেন তার প্রতিপক্ষ চরজব্বার গ্রামের হাফেজ আহমেদের পুত্র মোঃ সোহাগ (৩৫), জসিম উদ্দিনের পুত্র মজনু তাকে দেখে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় এসময় তিনি তাদের দৌঁড়ে ধরার চেষ্টা করলে তারা হোন্ডা যোগে পালিয়ে যায়।
সরজমিনে গিয়ে জানতে চাইলে এলাকাবাসী জানান অভিযুক্ত সোহাগ, জসিম এবং মজনুর সাথে ভুক্তভোগির জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল সে বিরোধের জেরেই ইব্রাহিমকে আর্থিকভাবে ক্ষতির জন্য তারা এ কাজ করতে পারে।
অভিযুক্ত সোহাগ এবং মজনুর সাথে ঘটনার বিষয়ে জানতে চালে তারা বলেন, আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত নই, কে বা কারা করেছে সেটাও জানিনা।
এ ঘটনায় ইব্রাহিম খলিল চরজব্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা চরজব্বার থানার এসআই সালা উদ্দিন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, মাছ নিধনের ঘটনা সত্য তবে কারা করেছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
ভুক্তভোগি মোঃ ইব্রাহিম খলিল এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিষ প্রয়োগকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। বাংলারদর্পন