প্রতিবেদকঃ
নরসিংদীর ঘোড়াশালে পুলিশের ‘পিটুনিতে’ এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যুর অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
মঙ্গলবার বিকালে ঘোড়াশাল ব্রিজের কাছে ওই ঘটনার খবর পেয়ে সন্ধ্যায় স্থানীয়রা নরসিংদী-ঘোড়াশাল সড়ক অবরোধ করে।
পরে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয় বলে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) সাহেদ আহমেদ জানান।
পলাশ থানার পুলিশ মান্নান নামের ওই অটোরিকশা চালককে মারধর করার কথা অস্বীকার করলেও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
মান্নানের ভাই মিলন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, তার ভাই যাত্রী নিয়ে কালীগঞ্জে গিয়েছিলেন। যাত্রী নামিয়ে নরসিংদীতে ফেরার সময় ঘোড়াশাল ব্রিজের কাছে পুলিশ সদস্যরা তাকে আটকায়।
“তারা আমার ভাইয়ের কাছে ৫০০ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে বেদম মারধর করে।”
পরে মান্নানকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান মিলন।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেদ আহমেদ বলেন, “মন্নান হার্টের রোগী ছিল। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় একপর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে সে মারা যায়।”
ওই অটোরিকশা চালককে পুলিশের মারধোরের কথা অস্বীকার করেছেন পলাশ থানার ওসি শেখ নাসির উদ্দিনও।
তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তারা প্রাথমিকভাবে খোঁজ নিয়ে ‘সত্যতা পাননি’।
“ওই চালক যাওয়ার সময় চেকপোস্টে নিজের অসুস্থতার কথা বলেছিল। জানিয়েছিল সে ঘোড়াশালে যাচ্ছে। বিকাল ৫টার দিকে ফেরার সময় চেকপোস্টে পুলিশ আবার গাড়ি থামিয়ে দেখে আগের চালক পিছনে বসা, তাকে একজন ধরে আছে। চালকের আসনে অন্য একজন।
“তারা জানায়, ঘোড়াশালে অসুস্থ চালকের চিকিৎসা হয়নি। তাই নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিতে হবে। চেকপোস্টের পুলিশ সদস্যরা তখন তাদের ছেড়ে দেয়। এখানে মারধর বা টাকা চাওয়ার বিষয়টি সত্য নয়।”
ওই অটোরিকশা চালকের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানা যায়নি।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার বলেন, “এই ঘটনার তদন্ত হবে। তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। পোস্ট মর্টেমে রিপোর্ট দেখে আমরা ব্যবস্থা নেব । বাংলারদর্পন