শ্রেনীকক্ষ সংকটে কালীগঞ্জের সিংদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা আকাশের নিচে শিশুদের লেখাপড়া !

ঝিনাইদহঃ
শ্রেনীকক্ষ সংকটে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ১০২নং সিংদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা আকাশের নিচে লেখাপড়া করছে শিশুরা। আর বৃষ্টি হলে তারা পড়ে স্কুলটির বারান্দায়। ১৯৮৭ সালে স্থাপিত স্কুলটি। অফিসসহ একটি ভবনে চারটি ক্লাসরুম রয়েছে। প্রাক প্রাথমিক- থেকে ৫ম শ্রেনীর পাঠদান চলে স্কুলটিতে। স্কুলটিতে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকদের বসা ও জরুরি কাগজপত্র রাখার অফিসকক্ষে প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা বসে আছে। সেখানেই পাঠদান করাচ্ছেন এক শিক্ষিকা। এদিকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর পাঠদান করানো হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। তৃতীয় শ্রেনীতে ৩৭ জন ও চতুর্থ শ্রেনীতে ৪২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। স্কুলটিতে মোট ২২০ শিক্ষার্থী এবং পাঁচজন শিক্ষক রয়েছেন।

 

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র্র শীত ও ঘন কুয়াশার মধ্যেও আমাদের খোলা আকাশের নিচে পড়তে হয়। এ ছাড়া প্রচন্ড রোদে আমাদের এই মাঠের মধ্যে ক্লাস নেয়া হয়। খোলা আকাশের নিচে মাটিতে বসে পড়াশোনা করতে আমাদের ভালো লাগে না। বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক মাশরেকুল আলম বলেন, শ্রেনীকক্ষ সংকটে তীব্র্র শীত বা রোদে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাতে হয়। অনেক সময় ছোট ছোট বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে যায়। পর দিন আর স্কুলে আসতে পারে না। ১০২নং সিংদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এএসএম জহুরুল ইসলাম বলেন, শ্রেনীকক্ষ সংকটে স্কুলটিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে বেশ হিমশিম খেতে হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে চটের ওপর পাঠদান করানো হয়। আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সময় স্কুলটির খোলা বারান্দায় বসানো হয়।

এমনকি স্কুলটির অফিস কক্ষ ও শিক্ষার্থীদের পাঠদানের কাজে ব্যবহৃত হয়। স্কুলটিতে শিক্ষকের সংকটও রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা হয়নি। কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার বানু, ভবনের জন্য উপজেলার সব বিদ্যালয়ের তালিকা পাঠানো রয়েছে। রোটেশন অনুযায়ী সেগুলো হয়ে আসছে। অনেক সময় স্থানীয় এমপির বিশেষ বরাদ্দ থেকে ভবন নির্মাণ করা হয়। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *