টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

 

বাংলার দর্পন ডটকম :

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।

জাতির জনকের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও।

শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টার পর প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ সময় তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন; তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার দেয়।

শেখ হাসিনা পরে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসাবে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে আরও ছিলেন শওকত আলী, ফারুক খান, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, শেখ হেলাল উদ্দিন ও আবদুস সোবহান গোলাপ।

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো.শফিউল আলম, মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন সমাধিসৌধ প্রাঙ্গণে।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ফাতেহা পাঠ করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন। মোনাজাতে দেশ ও জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। রাষ্ট্রপতি সমাধি কমপ্লেক্সের পরিদর্শন বইতেও স্বাক্ষর করেন।

সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব শেষে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে রাষ্ট্রপতিকে বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটি উপহার দেন শেখ হাসিনা।

দিনটি উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, শিশু সমাবেশ, আলোচনা সভা এবং গ্রন্থমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।

বেলা পৌনে ১২টায় প্রধানমন্ত্রী বইমেলার উদ্বোধন করেন এবং ‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। বিকাল সাড়ে ৩টায় শিশু সমাবেশ ও আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে তার।

আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করছে। সরকারিভাবেও নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *