ফেনী প্রতিনিধি :
নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে বিভিন্ন প্রজাতির দেড় হাজার বড় গাছ পানির দরে নিলামে বিক্রি করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। বিষয়টি জানাজানি হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে তোলপাড় চলছে।
;”>সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের মহিপাল থেকে সেবারহাট পর্যন্ত ১ হাজার ৫শ ৪৬টি গাছ নিলামে ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৩শ ৩৩ টাকায় বিক্রি করা হয়। ২০১৬ সালে একই সড়কের দাগনভূঞা থেকে বেকের বাজার পর্যন্ত ৪শ ১৭টি গাছ নিলামে বিক্রি হয় ২৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।< 0px;">তখন ৬টি গ্রুপে ভাগ করে ২ হাজার ১৭টি গাছের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১ কোটি ৫০ লাখ ৯ হাজার ১শ ৯৭ টাকা। তৎকালিন সময়ে মেসার্স হায়দার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উল্লেখিত মূল্যে গাছগুলো নিলামে বিক্রির কার্যাদেশ পায়। চলতি বছরের ২১ অক্টোবর পুনরায় কার্যাদেশ দিয়ে গাছ নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করা হয়। এ ঘটনায় মেসার্স হায়দার এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী জিয়াউর রহমান হায়দার বাদী হয়ে জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন।
ইকবাল হোসেন উজ্জ্বল বাদী হয়ে আরেকটি পৃথক আরেকটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে সড়ক ও জনপদ বিভাগের মিরপুর পূর্বাঞ্চল বিভাগের অপারেশন ডিভিশনের নির্বাহী বৃক্ষ পালনবিদ মীর মুকুট মো: আবু সাঈদ, সওজের ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হালিমুর রহমান, সওজের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারি বৃক্ষ পালনবিদ রফিকুল ইসলাম চাকলাদার, মেসার্স অপূর্ব ট্রের্ডাসের স্বত্বাধিকারী আবদুল কাদের বাবুল, মেসার্স এস.কে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো: হুমায়ুন কবীর ও মেসার্স রাফি এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী আহসান উল্যাহকে বিবাদী করা হয়েছে। ;">এ ব্যাপারে মেসার্স হায়দার এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী জিয়াউর রহমান হায়দার অভিযোগ করেন, সওজের কিছু কর্মকর্তা ও কতিপয় ঠিকাদারদের যোগসাজসে গোপনে নামমাত্র মূল্যে গাছ বিক্রি করা হয়। কোন ধরনের নিলাম আহবান না করায় সরকার কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। px;">ফেনীস্থ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হালিমুর রহমান জানান, তিনি ফেনীতে নতুন যোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই।
বক্তব্য জানতে সওজের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারি বৃক্ষ পালনবিদ রফিকুল ইসলাম চাকলাদারকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।