ফেনী প্রতিনিধি :ফেনীর মাহবুবুল হক পেয়ারা সুইমিংপুলে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া তাঁত বস্ত্র ও হস্তশিল্প মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলাকে কেন্দ্র করে নিয়মিত ছিনতাই,ইভটিজিং ও চুরির ঘটনা ঘটছে। জানা গেছে,ফেনীর বিখ্যাত ব্যক্তি মাহবুবুল হক পেয়ারার নামে প্রতিষ্ঠিত সুইমিংপুলে কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রভাবশালী মহলের ইশারায় এলাকার টাউট বাটপারদের সহযোগিতায় মাসব্যাপী মেলা চলছে। বিষয়টি প্রশাসন অবগত হলেও অদৃশ্য কারণে ব্যবস্থা নিতে পারছেনা।
সুইমিংপুলে ফেনীর বিনোদন প্রিয়াসী মানুষেরা অবসর সময় কাটানোর পাশাপাশি সাঁতার কাটতে যায়। একটি মহল মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিধি বহির্ভূতভাবে মেলা আয়োজনে সুইমিংপুল ভাড়া দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক স্থানীয় বাসিন্দা জানান রাত বাড়লেই মেলা কেন্দ্রিক মাদক জুয়া আর বেহায়াপনার জমজমাট আসর বসে। মেলাকে কেন্দ্র করে সেখানে কতগুলো ঝুপড়ি ঘর গড়ে তোলা হয়েছে। এ ঘরগুলোতে চলে অবৈধ কাজের বৈধ কারবার। রাতব্যাপি নানা অসামাজিক কাজের প্রভাব পড়ছে এলাকায়। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ইভটিজিং ছিনতাই ও মোবাইল ফোন চুরিসহ নানা ঘটনা।
এদিকে মেলায় দিনরাত উচ্চস্বরে যৌন উত্তেজক গান চালানোর কারণে আশপাশের অধিবাসীরা শব্দদূষণের শিকার হচ্ছে। এছাড়া এসব গানের কারণে মেলার আশপাশে উঠতি বয়সী যুবকরা দলবেধেঁ অবস্থান নিয়ে স্কুল কলেজ গামী ছাত্রীদের ইভটিজিং করছে। আরো জানা গেছে মেলার সমন্বয়কারী মো. কামাল উদ্দীনের রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ মাস্তান চক্র। সে যেখানে মেলার আয়োজন করে সেখানে মাস্তানরা তাকে প্রটোকল দেয়। তার লালিত মাস্তানরা অস্ত্রও বহন করে বলে জানা গেছে। কামালের কাছে মেলার অনুমতির কথা জানতে চাওয়া হলে তার লালিত কিছু মাস্তান ছুটে আসে।
মেলা আয়োজনে জেলা প্রশাসনের অনুমতি আছে কি না জানতে চাইলে সে মৌখিক অনুমতি নিয়েছে বলে জানায়। এদিকে মেলায় প্রচুর বিদ্যুতের চাহিদা থাকায় শহরের অন্য এলাকায় লোডশেডিং করে মেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ফেনী পিডিবির কোন অনুমতি না থাকলেও কামালের সিন্ডিকেটবাজির কারণে কোন আইনী ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না বলে জানালেন পিডিবির এক কর্মকর্তা। বিদ্যুৎ ব্যবহারে ফেনী পিডিবির কোন লিখিত কাগজপত্রও দেখাতে পারেনি কামাল। মেলার আয়োজক কে? জানতে চাইলে সে স্থানীয় টাউট হিসেবে পরিচিত সাইফুল, সবুজ ও মনির হোসেন নামে কয়েকজনের নাম প্রকাশ করে। মুলত পাড়ার গুন্ডা হিসেবে কামাল এদেরকে ভাড়া করেছে বলে জানা গেছে। কামালের সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে এরা মেলায় অবস্থান করছে।
মেলা আয়োজনের বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন করা হলে একপর্যায়ে আ‘লীগ সাধারণ সম্পাদক ,সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র সচিব কামাল আহমেদের নাম বিক্রি করার পাশাপাশি তাদের ফোন নাম্বার রয়েছে বলে জানায়। মেলার একমাস অতিবাহিত হলেও তা কয়দিন ধরে চলবে কামাল নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি।