চীনের গ্রেট হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা | বাংলারদর্পন

নিউজ ডেস্কঃ

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দেশটির সরকার ও ক্ষমতাসীন দল সিপিসির কার্যালয় ভবন ‘গ্রেট হল অব দ্য পিপল’-এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে।

 

চীন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে গ্রেট হলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং।

 

এর পর দুই প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরিচিত হন। তারপর দুই প্রধানমন্ত্রী অভিবাদন মঞ্চে যান। অভিবাদন মঞ্চে শেখ হাসিনা ও লি কেকিয়াংকে সশস্ত্র সালাম প্রদান করে চীনের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল।

 

এ সময় দু’দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানিয়ে তোপধ্বনি দেওয়া হয়। পরে দুই প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর প্যারেড পরিদর্শন করেন।

 

এরপর দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ ও চীনের প্রধানমন্ত্রী।

 

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে গত ১ জুলাই দেশটি সফরে আসেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান। সেদিন রাতে লিয়াওনিং প্রদেশের দালিয়ানে পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে দালিয়ান আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘অ্যানুয়াল মিটিং অব দ্য নিউ চ্যাম্পিয়নস-২০১৯’ শীর্ষক গ্রীষ্মকালীন সম্মেলনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বিকেলে ‘কো-অপারেশন ইন দ্য প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন তিনি।

দালিয়ান থেকে বুধবার (৩ জুলাই) এয়ার চায়নার একটি চার্টার্ড প্লেনে প্রধানমন্ত্রী বেইজিংয়ে পৌঁছান। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেইজিংয়ের সফরকালীন আবাসস্থল ডিয়াওইউতাই স্টেট গেস্ট হাউজে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিকেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

 

বৃহস্পতিবার গ্রেট হলে শেখ হাসিনা ও লি কেকিয়াংয়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

 

দুপুরে চীনা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভোজে যোগ দেবেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান। এ দিন বিকেলে চীনের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকেও অংশ নেবেন তিনি।

 

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাতে চীনা প্রেসিডেন্টের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।

 

ব্যস্ত সফর শেষে শনিবার (৬ জুলাই) দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *