আন্তর্জাতিক নারী দিবসে-ফারাজ করিম চৌধুরী কিছু কথা

চট্টগ্রাম ব্যুরো :

আমার জীবনে দেখা ৩ জন সাহসী নারীর সাথে তোলা আমার একটি ছবি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। ছবিটি অনেকদিন আগের। আমার পাশে যিনি দাঁড়ানো তিনি আমার মা। পুরুষ শোষিত আদালতে একজন সাহসী নারী আইনজীবী তিনি। এক সময় ব্যারিস্টার ইউসুফ নামে সকলে চিনতো আমার নানাকে, কিন্তু এখন ব্যারিস্টার ইউসুফ আমার মায়ের পরিচয়।

 

 

 

ছবির সবচেয়ে ডান পাশের মহিলাটি আমার নানু। আমি ছোট বেলা থেকে নানুকে ‘জান’ বলে ডাকি। আমার দেখা অতি সাধারণ একজন মানুষ হলেও আমার বেড়ে উঠা থেকে আজকে এতদূর আসার পিছনে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছেন।

 

 

আর মাঝখানে যিনি আছেন তাকে নিশ্চয় আমার পরিচয় করিয়ে দিতে হবে না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি কেমন তা আজ বলতে চাই না। বরং একজন নারী হিসেবে তিনি কেমন তা আজ তুলে ধরতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনা নারী হিসেবে একজন অনন্য ব্যক্তিত্ব। উনার জীবনের পথচলা দল-মত নির্বিশেষে সকল অসহায় নারীদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বলে আমি মনে করি। কিভাবে উনারা দুই বোন (শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা) ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে আজ এতদূর এসেছেন তা এক আল্লাহ আর তারা ২ বোন ছাড়া আমাদের হয়তো কারো জানা নেই। তাদের দুর্গম যাত্রা অনেকটা আমরা ‘হাসিনা এ ডটার্স টেইল’ সিনেমাটি দেখে উপলব্ধি করতে পারলেও বাস্তবে সেই যাত্রা ছিল আরো অনেক কঠিন ও বেদনায়ক।

 

আজ একটি কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। ১৯৬৬ সাল থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার নানুর বন্ধু। বয়সের কারণে আমার নানু এখন তেমন একটা বাসা থেকে বের হয় না এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখাও হয় না। সেই কারণে এই ছবিটি আমার জীবনের ইতিহাসের অংশ হিসেবে থাকবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আমার নানু বলেন, “ওর গুণ গুলোর মধ্যে আমার সবচেয়ে যেটা বেশি মনে পরে তা হচ্ছে সে খুব সাধারণ ছিল, মুখে হাসি ছিল, মিশুক ছিল আর সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে নামাজ আদায়ের জন্য কোন সময় অবহেলা করতো না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *