জামালগঞ্জ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে বানোয়াট অপপ্রচার এলাকাবাসীর ক্ষোভ

মো. নাইম তালুকদার, সুনামগঞ্জ ; 

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ সরকারি হাসপাতার সংলগ্ন পয়েন্টে প্রায় ১৮ বছর ধরে সেবাদানকারী হতদরিদ্রদের একমাত্র ভরসা স্থল “জামালগঞ্জ ডায়াগনস্টিক সেন্টারট” সম্প্রতি দুষ্টচক্রের রোষানলে পড়েছে। এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশ করায় উপকারভোগীদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

গরীবের প্রতিষ্ঠান খ্যাত এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্তাধিকারী সঞ্জীব বড়ুয়া অনেক ক্ষেত্রেই হত দরিদ্রদের স্বল্প ব্যয়ে অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে বিনাম‚ল্যে প্যাথলজিক চিকিৎসা সহায়তা সেবা দিয়ে থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি একটি কুচক্রী মহল একচেটিয়া ব্যবসায়িক ফায়দা লুটতে গরীবের এই প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে।

 

এই  অসাধু চক্রটি জামালগঞ্জবাসীকে ‘এমআর এবং অবৈধ গর্ভপাতের কলংক দিয়ে বদনাম রটিয়ে জামালগঞ্জ সরকারি হাসপাতালের একজন নিরপরাধ ও দায়িত্বশীল সিনিয়র নার্সকেও অসম্মানিত করেছে। যার আদৌ কোন ভিত্তি নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দায়িত্বে আছেন পপি দাস নামের একজন দক্ষ টেকনোলজিস্ট। ঢাকার একটি বেসরকারি টেকনিক্যাল কলেজ থেকে তিনি ৩ বছরের ডিপ্লোমা সনদপ্রাপ্ত। এছাড়া তার দীর্ঘ দিনের কাজের দক্ষতাও রয়েছে। তার সাথে জামালগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে কর্মরত সুমন পাল নামের আরেকজন (তিন বছরের ডিপ্লোমা) দক্ষ টেকনোলজিস্ট যিনি হাসপাতালের দায়িত্ব পালনের পর এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ল্যাবে বিভিন্ন পরিক্ষা- নিরিক্ষার কাজ দেখাশোনা করেন।

তাছাড়াও আরো ৭জন কর্মচারী কাজ করেন এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। তুলনা মু‚লক কম খরচে এই ডায়াগনস্টিক ল্যাবে চিকিৎসা সহায়ক বিভিন্ন পরিক্ষা-নিরিক্ষার সুযোগ থাকায় হাওর পাড়ের মধ্যবিত্ত- নিম্নমধ্যবিত্ত-হতদরিদ্র রোগীদের আনাগোনা বেশি থাকে। গতকাল এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে কয়েকজন হতদরিদ্র সেবাগ্রহনকারির দেখা পাওয়া গেছে। তাদেরকে ল্যাবে বিনাম‚ল্যে রোগ নির্ণয় পরিক্ষা-নিরিক্ষার সহায়তা দিচ্ছেন ডায়াগনস্টিকের স্বত্ত¡াধিকারী সঞ্জীব বড়ুয়া। এলাকাবাসী জয়দর মিয়া, আসক আলীসহ বেশ কয়েক জন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অপর কোন এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শেয়ার হোল্ডার তার ডায়াগনস্টিক ল্যাবে একচেটিয়া ব্যবসায়িক ফায়দা লুটতে পরিকল্পিতভাবে অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন। কথিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শেয়ার হোল্ডার জনৈক ব্যক্তি বিভিন্ন জনের ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারে কয়েক দিন ধরে একই অনলাইন পোর্টালের নিউজ লিঙ্কও সরবরাহ করছেন।

জামালগঞ্জ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উপকারভোগী একাধিক ব্যক্তি জানান, সঞ্জীব বড়ুয়া একজন নিরীহ ও সৎ ব্যক্তি। প্রায় দেড় যুগ আগে শুভাকাক্ষী বন্ধুদের অনুরোধে তিনি চট্টগ্রাম থেকে জামালগঞ্জ এসে “জামালগঞ্জ ডায়াগনস্টিক সেন্টার” নামের এই প্রতিষ্ঠানের চালু করেন। জামালগঞ্জ উপজেলায় তখন এই প্রতিষ্ঠানই ছিল চিকিৎসা সহায়ক রোগ নির্ণয়ের একমাত্র ভরসাস্থল ল্যাব। হাওর এলাকার হাজার হাজার মানুষ এই ল্যাব থেকে সুলভে ও দরিদ্ররা বিনাম‚ল্যে সেবা নিয়েছেন। যে কারণে এই ডায়াগনস্টিক সেন্টার অধিকাংশ রোগিদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় ল্যাব ব্যবসা প্রসারিত হওয়ায় কোন কোন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি “ডায়াগনস্টিক” ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। দেখা দেয় ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা।

 

যার কারণে অযথা হয়রানির শিকার হচ্ছেন নিরীহ এই ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী সঞ্জীব বড়ুয়া। প্রায় দেড় যুগ ধরে ভাড়া করা ঘরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাজ চালাচ্ছেন সঞ্জীব বড়ুয়া। প্রতিষ্ঠান বা স্বত্ত¡াধিকারী কারো নামে কোন ভ‚মিও কিনতে পারেননি আজো। নেহায়েত সাদাসিধা জীবন যাপন করেন সঞ্জীব বড়ুয়া ও তার পরিবার পরিজন। তার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ‘এমআর এবং অবৈধ গর্ভপাতের ব্যাপারে জানতে চাইলে সঞ্জীব বড়ুয়া বলেন, এসব করার প্রশ্নই আসে না, এসব আমি জানিও না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *