নাইম তালুকদার, সুনামগঞ্জ থেকে :
একদিকে বসন্তের আগমন, অন্যদিকে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন পল্লী অঞ্চল তথা হাট-বাজারে চায়ের দোকানগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে ভিড়।
নিজ নিজ এলাকার প্রার্থী নিয়ে ভোটারদের রয়েছে আলাদা হিসাব-নিকাশ। আর এসব আলোচনার ঝড় উঠছে এখন চায়ের কাপে।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারী ) বিকেল ৪ টায় হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার দিরাই বাজারে একটি চায়ের দোকানে দেখা যায় ভোটাররা নির্বাচনী আলাপে মশগুল। একজন ভোটার এলাকার এক প্রার্থীর পক্ষে কথা বললেন, তার প্রশংসা করলেন তো আরেক ভোটার একই এই উপজেলার সন্ত্রত আরেক প্রার্থীর প্রশংসা করে তাকেই এগিয়ে রাখলেন। এ নিয়ে খানিকটা তর্কও হলো দুই ভোটারের মধ্যে। সারা দেশের ন্যায় এখন সুনামগঞ্জে একই চিত্র। শুধু ভোটের আলাপ।
বসন্তের আমেজে চায়ের চুমুকে চুমুকে চলছে ভোটের আলাপ। সেই আলাপের কোনো শেষ নেই। ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত সেই ভোটের আলাপ।
এদিকে অফিস-আদালতেও ভোটের আলাপ থেমে নেই। ক্যান্টিনেও চায়ের চুমুকের ফাঁকে ফাঁকে ভোটের আলাপ চলছে।
হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় চায়ের দোকানে শ্রমজীবী মানুষের মধ্যেই ভোটের আলাপে আগ্রহ বেশি দেখা যায়। চা পান করতে করতে অনেকেই নির্দ্বিধায় কোনো একটি রাজনৈতিক দল বা জোটের পক্ষে নিজের অবস্থান প্রকাশ করছেন। তবে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অনেকেই তার রাজনৈতিক অবস্থান কৌশলগত কারণে প্রকাশ করেন না। সে কারণে ভোটের আলাপ থেকে দূরে থাকারও চেষ্টা করেন কেউ কেউ। তবে ভোটের দিন এখন যতই এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে ভোটের আলাপ।
আবার কোথাও কোথাও ভিন্ন চিত্রও রয়েছে। ভোটের আলাপ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক ঠেকাতে কোনো কোনো চায়ের দোকান ছোট নোটিশও টাঙিয়েছে। সেখানে @লেখা-‘রাজনৈতিক আলাপ নিষেধ’। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা কর্ণগাও বাজারে একটি চায়ের দোকানে এমন নোটিশও চোখে পড়লো। এ নোটিশ টাঙানোর পেছনে কারণ কী- দোকানি আব্দুল ওজুদকে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বাংলার দর্পনকে জানালেন, কয়েকদিন আগে ভোটের আলাপ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে । তাই বাধ্য হয়েই তিনি এ নোটিশ টানিয়েছেন।
সারাদেশে প্রথম ধাপের ন্যায় সুনামগঞ্জে ১০ মার্চ (রোববার) পঞ্চম উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।