প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ড. ইউনূসের সম্পর্ক উন্নয়ন হচ্ছে | বাংলারদর্পন

নিউজ ডেস্কঃ

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা দুইজনের দূরত্ব কমিয়ে আনার কাজ শুরু করেছেন। ড. মুহম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগের দেয়া নির্বাচনী ইশতেহারের ভূয়শী প্রশংসা করেছেন। নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের সঙ্গে বৈঠকে তিনি নির্বাচনী ইশতেহারের প্রশংসা করেন। এটা বাস্তবায়ন তাঁর (ড. ইউনূস) মতো লোকজন দরকার বলেই তিনি মন্তব্য করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নির্বাচনী ইশতেহারের দুটি বিষয়ে কথা বলেন। একটি হলো আমার গ্রাম; আমার শহর, যেখানে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের কথা বলা হয়েছে। অন্যটি হলো, ‘তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’। এতে তরুণ যুবসামাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর এবং কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার কথা বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ড. ইউনূস রবার্ট মিলারকে বলেছেন, তার গ্রামীণ ব্যাংকের লক্ষই ছিলো গ্রামগুলোতে আধুনিক সুযোগ সুবিধা ছড়িয়ে দেওয়া।

এজন্যই তিনি গ্রামীণ মৎস ও প্রাণী সম্পদ ফাউন্ডেশন শক্তি, পল্লী ফোন এর মতো উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আর তারুণ্যের শক্তির বিকাশ ঘটাতেই তিনি সামাজিক ব্যবসার উদ্যোগ নিয়েছেন। জানা গেছে, ওই দাওয়াতেই মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানতে চান এই নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে কাজ করতে তিনি আগ্রহী কিনা। জবাবে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বলেছেন, যেকোনো ভালো কাজে যুক্ত হতে তিনি সবসময়ই আগ্রহী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ‘অপছন্দ’ করেন বলেও তিনি রবার্ট মিলারকে জানান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এরপর মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভীর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি ড. ইউনূসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে উদ্যোগ নিতে ড. রিজভীকে অনুরোধ করেন। জানা গেছে, ড. ইউনূস পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধে কাজ করেছেন বলে যে অভিযোগ করা হয় তা সঠিক নয় বলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন। রবার্ট মিলার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঐক্যমতের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন।’

একটি সূত্র বলছে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত, ড. গওহর রিজভীকে এটাও বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের কাজে তাকে ব্যবহার করতে পারো।’ সূত্র মতে, ড. গওহর রিজভীও বলেছেন যে, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে তার কয়েকবারই কথা হয়েছে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এ ব্যাপারে আগের চেয়ে নমনীয়। তবে বরফ গলতে সময় লাগবে।’

ড. গওহর রিজভী মনে করেন ড. ইউনূসের অনেকগুলো ভুল আছে। আর সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে তৃতীয় পক্ষের হাত আছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত তখন জানতে চান, ড. ইউনূসের ভুল কি? উত্তরে ড. গওহর রিজভী বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার পর ড. ইউনূস প্রধানমন্ত্রীকে কোন সহানুভূতি জানান নি। তিনি দীর্ঘকাল অনির্বাচিত সরকার চেয়েছিলেন, ইত্যাদি।’

অন্য একটি সূত্র বলছে, শুধু মার্কিন দূতাবাসই নয়, ভারতও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ড. ইউনূসের সম্পর্ক উন্নয়নের পক্ষে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *